Dhaka ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমন নাথ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 9

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : গত ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করেন। এ সময় একদল যুবক ধারালো রামদা, চাপাতি, লোহার রড, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সেদিন অস্ত্র হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেইট সংলগ্ন ফতেপুর ইউনিয়ের নাথ পাড়ার রতন নাথের ছেলে ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমন নাথ। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে সদলবলে সবাই গা ঢাকা দিলেও কিন্তু ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমন নাথ এখনো ফতেপুর ইউনিয়ের মদনহাট বাজারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন এলাকার ক্যাডারদের নিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। সূত্র আরও জানায়, ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকাকালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে পুলিশের তালিকায় সন্ত্রাসী ইমন নাথের নাম ওঠে। জানাগেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৫ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শুরুর আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ ক্যাডার ইমন নাথের নেতৃত্বে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা ও পাথর। দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার দিকে আসতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ক্যাডার ইমন নাথের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পাথর নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আহসান হাবিব বলেন, গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করেন। এ সময় একদল যুবক ধারালো রামদা, চাপাতি, লোহার রড, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সেদিন অস্ত্র হাতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের গ্রেফতারে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালচ্ছি। ইতিমধ্যে হামলাকারী হিসেবে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ইমন নাথ নামের একজন জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমন নাথ

Update Time : ০৫:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক : গত ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করেন। এ সময় একদল যুবক ধারালো রামদা, চাপাতি, লোহার রড, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সেদিন অস্ত্র হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেইট সংলগ্ন ফতেপুর ইউনিয়ের নাথ পাড়ার রতন নাথের ছেলে ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমন নাথ। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তার সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে সদলবলে সবাই গা ঢাকা দিলেও কিন্তু ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমন নাথ এখনো ফতেপুর ইউনিয়ের মদনহাট বাজারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন এলাকার ক্যাডারদের নিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। সূত্র আরও জানায়, ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকাকালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে পুলিশের তালিকায় সন্ত্রাসী ইমন নাথের নাম ওঠে। জানাগেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৫ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শুরুর আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ ক্যাডার ইমন নাথের নেতৃত্বে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা ও পাথর। দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার দিকে আসতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ক্যাডার ইমন নাথের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পাথর নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আহসান হাবিব বলেন, গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে মিছিল করেন। এ সময় একদল যুবক ধারালো রামদা, চাপাতি, লোহার রড, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সেদিন অস্ত্র হাতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের গ্রেফতারে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালচ্ছি। ইতিমধ্যে হামলাকারী হিসেবে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ইমন নাথ নামের একজন জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি।