Dhaka ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর তিন উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, বাঁধের ১৭টি ভাঙন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • 67

ফেনী প্রতিনিধি : ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি ভাঙন অংশে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে প্রায় একশ গ্রাম। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে চৌকিতে মানবেতরভাবে জীবনযাপন করছেন। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। ফুলগাজী উপজেলা সদরেও বন্যার পানি উঠে গেছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.) মো. আবুল কাশেম বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে গত ১৯ আগস্ট সোমবার দুপুর থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি-সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুইটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়িসংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে তিন উপজেলার কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। প্রবল স্রোতের কারণে পানি মানুষের বাড়িতে উঠে গেছে। খুব কষ্টে রাত পার করছে ফেনী-পরশুরামের মানুষ। দক্ষিণশালদার গ্রামের এলাকাটি উঁচু হওয়ায় সাধারণত বন্যার পানি প্রবেশ করে না। কিন্তু এবার ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি আরও বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগরের বাসিন্দারা বলেন, ১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০১৮ সালের বন্যা নিজ চোখে দেখেছি। কখনও বাড়িতে পানি ওঠেনি। এবারই প্রথম আমাদের বাড়িতে পানি উঠলো। পুরো এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। নদীর পানি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জানাগেছে, গত মাসে বন্যায় বোরো ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে আবার বীজতলা তৈরি করে কয়েক দিন আগেই রোপণ করার পর ফের নদীর বাঁধ ভেঙে এখন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

ফেনীর তিন উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, বাঁধের ১৭টি ভাঙন

Update Time : ০২:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

ফেনী প্রতিনিধি : ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি ভাঙন অংশে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে প্রায় একশ গ্রাম। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে চৌকিতে মানবেতরভাবে জীবনযাপন করছেন। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎসংযোগ। ফুলগাজী উপজেলা সদরেও বন্যার পানি উঠে গেছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.) মো. আবুল কাশেম বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে গত ১৯ আগস্ট সোমবার দুপুর থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি-সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুইটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়িসংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে তিন উপজেলার কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। প্রবল স্রোতের কারণে পানি মানুষের বাড়িতে উঠে গেছে। খুব কষ্টে রাত পার করছে ফেনী-পরশুরামের মানুষ। দক্ষিণশালদার গ্রামের এলাকাটি উঁচু হওয়ায় সাধারণত বন্যার পানি প্রবেশ করে না। কিন্তু এবার ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি আরও বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী। পরশুরাম উপজেলার মির্জানগরের বাসিন্দারা বলেন, ১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০১৮ সালের বন্যা নিজ চোখে দেখেছি। কখনও বাড়িতে পানি ওঠেনি। এবারই প্রথম আমাদের বাড়িতে পানি উঠলো। পুরো এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। নদীর পানি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জানাগেছে, গত মাসে বন্যায় বোরো ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে আবার বীজতলা তৈরি করে কয়েক দিন আগেই রোপণ করার পর ফের নদীর বাঁধ ভেঙে এখন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।