০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাদ ফুটো করে ফাঁসির চার আসামি পালানোর পর পরই গ্রেপ্তার

  • আপডেট: ০১:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • 129

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পর পরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। ২৫ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়ার পর ২৬ জুন বুধবার ভোর ৪টার দিকে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (৬০), নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদর উপজেলার কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)। তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জানাগেছে, পালানোর ক্ষেত্রে দড়ি হিসেবে তারা ব্যবহার করেন পরিধেয় বস্ত্র ও বিছানার চাদর। এব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হন। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বাইরে বের হন। বিষয়টি জানার পর পরই ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি শুরু করে। ভোররাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষীবাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পর পরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একসঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করতেন। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াল টপকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে যায়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সর্বাধিক পঠিত

স্বামী হাসপাতালে,প্যারোলে মুক্তি চেয়েছে ডা. দীপু মনি

ছাদ ফুটো করে ফাঁসির চার আসামি পালানোর পর পরই গ্রেপ্তার

আপডেট: ০১:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পর পরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। ২৫ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়ার পর ২৬ জুন বুধবার ভোর ৪টার দিকে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (৬০), নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদর উপজেলার কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)। তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জানাগেছে, পালানোর ক্ষেত্রে দড়ি হিসেবে তারা ব্যবহার করেন পরিধেয় বস্ত্র ও বিছানার চাদর। এব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হন। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বাইরে বের হন। বিষয়টি জানার পর পরই ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি শুরু করে। ভোররাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষীবাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পর পরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একসঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করতেন। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াল টপকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে যায়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।