কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়ায় এবার ঈদুল আজহার ১৯৭তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ঈদের দিন শোলাকিয়ায় সকাল ৯টায় শুরু হবে ঈদের জামাত। এতে ইমামতি করবেন শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ মো. শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। ১৫ জুন শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা এবং টয়লেট। চলছে শহরের শোভাবর্ধনের কাজও। তবে গত দুই দিন ধরে কিশোরগঞ্জে থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি যেন জমে না যায়, সেজন্য মাঠে ফেলা হচ্ছে বালু। ঠিকঠাক করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিকেল টিম। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে নিরাপত্তার দিকটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। যেন লোকজনের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো অস্বস্তি না থাকে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, নিরাপত্তার দিক দিয়ে কোনো ঝুঁকি না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই শোলাকিয়ায় প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ঈদ জামাত। সেজন্য যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে। মাঠের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আসা মুসল্লিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। পরে এই ট্রেনটি দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরবের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এছাড়া, আরেকটি বিশেষ ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে সকাল পৌনে ৬টায় ছেড়ে এসে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে। পরে এটি আবার ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করবে দুপুর ১২টায়।