Dhaka ১১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাই গিয়ে খুন হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মেয়ে কাজলী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • 5

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে চাকুরির উদ্দেশ্যে দুবাই গিয়ে খুন হন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মেয়ে কাজলী খাতুন।

গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে দুবাই কোম্পানির সুপারভাইজারের সাথে বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানো নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সুপারভাইজার লুকমান ওরফে সাইকো মদের বোতল দিয়ে মাথা আঘাত করলে কাজলী মারা যায়। সুপারভাইজারের হাতে নিহত কাজলী খাতুন(২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কুমারী গ্রামের তছের আলীর মেয়ে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মেজো কাজলী। কাজলীর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কাজলীর মা ও বাবা মেয়ের শোকে পাগল প্রায়। জানা গেছে, কাজলীর বাবা ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ীর চালক। বাবার অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে দুবাই চলে যায় কাজলী। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর বাড়িতে মোবাইল করে কাজলী জানায় সে দুবাই চলে গেছে। ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করে। বড় বোন ও ছোট ভাই বাড়িতে মা বাবার সাথে থাকে।

দুবাই থেকে ৬ মাস পর পরিবারের সাথে ঈদ করতে গত ৬ রমজান বাড়িতে আসে কাজলী। কিন্তু ঈদের আগে কোম্পানি থেকে ফোন করে জরুরীভাবে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিলে কাজলী ২৬ রমজান আবার দুবাই চলে যায়।

নিহত কাজলী খাতুনের পিতা তছের আলী জানায়, কাজলী তার মেজো মেয়ে। কাজলী ও তার ছোটবোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন। ৬ মাস পর দুবাই থেকে ঈদ করার জন্য বাড়িতে আসে কাজলী। কিন্তু পরিবারের সাথে ঈদ না করেই আবার দুবাই চলে যেতে হয়। এমাসে বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা। কাজলী খাতুন সুপারভাইজারের কাছে বেতনের অনেক টাকা পাবে। সুপারভাইজারের সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তাকে মেরে ফেলেছে। সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকোর বাড়ি বাংলাদেশে। সুপারভাইজারের শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইল। তার বাড়ির কোন জেলা তা জানা যায়নি। তিনি আরও বলেন, তার মেয়ে কাজলী খাতুনকে যে সুপারভাইজার মেরে ফেলে তার বিচার চাই।

এবিষয়ে কুমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, কাজলী খাতুনকে দুবাইয়ে তার কোম্পানির সুপারভাইজার মেরে ফেলেছে। তার লাশ দেশে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রকার আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে নিয়ে আসা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

https://dainiksurjodoy.com/wp-content/uploads/2023/12/Green-White-Modern-Pastel-Travel-Agency-Discount-Video5-2.gif

দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার

দুবাই গিয়ে খুন হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মেয়ে কাজলী

Update Time : ০৩:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে চাকুরির উদ্দেশ্যে দুবাই গিয়ে খুন হন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মেয়ে কাজলী খাতুন।

গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে দুবাই কোম্পানির সুপারভাইজারের সাথে বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানো নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সুপারভাইজার লুকমান ওরফে সাইকো মদের বোতল দিয়ে মাথা আঘাত করলে কাজলী মারা যায়। সুপারভাইজারের হাতে নিহত কাজলী খাতুন(২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কুমারী গ্রামের তছের আলীর মেয়ে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মেজো কাজলী। কাজলীর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কাজলীর মা ও বাবা মেয়ের শোকে পাগল প্রায়। জানা গেছে, কাজলীর বাবা ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ীর চালক। বাবার অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে দুবাই চলে যায় কাজলী। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর বাড়িতে মোবাইল করে কাজলী জানায় সে দুবাই চলে গেছে। ছোট বোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করে। বড় বোন ও ছোট ভাই বাড়িতে মা বাবার সাথে থাকে।

দুবাই থেকে ৬ মাস পর পরিবারের সাথে ঈদ করতে গত ৬ রমজান বাড়িতে আসে কাজলী। কিন্তু ঈদের আগে কোম্পানি থেকে ফোন করে জরুরীভাবে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিলে কাজলী ২৬ রমজান আবার দুবাই চলে যায়।

নিহত কাজলী খাতুনের পিতা তছের আলী জানায়, কাজলী তার মেজো মেয়ে। কাজলী ও তার ছোটবোন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন। ৬ মাস পর দুবাই থেকে ঈদ করার জন্য বাড়িতে আসে কাজলী। কিন্তু পরিবারের সাথে ঈদ না করেই আবার দুবাই চলে যেতে হয়। এমাসে বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা। কাজলী খাতুন সুপারভাইজারের কাছে বেতনের অনেক টাকা পাবে। সুপারভাইজারের সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় তাকে মেরে ফেলেছে। সুপারভাইজার লোকমান হোসেন ওরফে সাইকোর বাড়ি বাংলাদেশে। সুপারভাইজারের শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইল। তার বাড়ির কোন জেলা তা জানা যায়নি। তিনি আরও বলেন, তার মেয়ে কাজলী খাতুনকে যে সুপারভাইজার মেরে ফেলে তার বিচার চাই।

এবিষয়ে কুমারী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু বলেন, কাজলী খাতুনকে দুবাইয়ে তার কোম্পানির সুপারভাইজার মেরে ফেলেছে। তার লাশ দেশে নিয়ে আসার জন্য সকল প্রকার আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব লাশ দেশে নিয়ে আসা হবে।