Dhaka ০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেলাল আকবর চৌধূরী বাবরের উত্থান ও কী তার সাফল্যের চাবিকাঠি?

সুব্রত শুভ্র: প্রতিপক্ষ যতই শক্তিধর হোক হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে এক অপরাজেয় তরুণনেতা। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তা ১০ বছর আগের চাইতে অনেক বেড়ে গিয়েছে।

প্রয়াত কিংবদন্তি নেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মিল পাওয়া যাচ্ছে চট্টলসম্রাট হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের মাঝে। অসহায়দের সগযোগিতায় নেই তার সীমাবদ্ধতা। নগরের দূরদূরান্তের অসহায় ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী, রিকশা চালক দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিপদে পড়লে নন্দনকানন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসার পাশে চলে আসেন।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে কেমন করে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে এত বড় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর কী তার সাফল্যের উৎস। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার এই সাফল্যের পেছনে কিন্তু একটা প্রতিভা কাজ করে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় সাংবাদিক রতন কান্তি দেবাশীষ। তিনি বলেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের একটা ক্যারিশমা বা সম্মোহনী ক্ষমতা আছে।

জানা যায়, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছোটকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জি-এস নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তৎতালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং ২০১৩ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক মনোনীত হন। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের একেবারে সাধারণ একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই তাঁর মধ্যে অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন তার সিনিয়র নেতারা। তিনি চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। তার প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন কেটেছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছায়ায়। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের একটা বিশেষত্ব হলো তার প্রচণ্ড লড়াকু মনোবৃত্তি, এবং তার পরিশ্রম করার ক্ষমতা। তার রাজনৈতিক জীবনে বহু বাধা এসেছে, তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও হত্যার পরিকল্পনা করে প্রায় ধ্বংস করার উপক্রম হয়েছিল, কিন্তু তিনি আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন, নিজেকে পুনর্গঠিত করেছেন। এটা তার লড়াই করার ক্ষমতার প্রমাণ।

চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে বর্ণনা করছে চট্টলসম্রাট বলে। যুবলীগের রাজনীতি থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার পরই তিনি একজন উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছেন। ছোট ছোট অনেক ঘটনা আছে যার মধ্যে দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের নজরে এসেছিলেন।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর দরিদ্র জনগোষ্ঠী, নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নানা রকম জনকল্যাণ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিগত করোনাকালীন সময়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একের পর এক মানবিক সাহায্য নিয়ে অসহায়, বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হয়। সবসময় তিনি প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেই মূল্যায়ন করেছেন।

মানব সেবায় ব্রত হয়ে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর কয়েকবছর যাবত পবিত্র রমজান মাসজুড়ে রোজাদারদের মাঝে ইফতার-সেহেরি বিতরণ করে আসছেন। চট্টগ্রাম নগরের দূরদূরান্তের অসহায় ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী, রিকশা চালক দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রমজান মাসে নন্দনকানন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসার পাশে চলে আসেন। পবিত্র রমজাসে ইফতার ও সেহরির উৎসব হয় তার নন্দনকাননের বাসায়। প্রকৃতপক্ষেই এগুলো এক সাড়া-জাগানো ঘটনা। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সাফল্যের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের এক বিরল ক্ষমতা রয়েছে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারার।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের জীবনে আলস্যের কোনো অবকাশ নেই। পরিবার বলতে তাঁর সংগঠনই সবচেয়ে বড় পরিবার। জীবন ও রাজনীতি মিলে একাকার হয়ে গেছে তাঁর জীবনে। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ইচ্ছা করলে অনেক কিছু হতে পারতেন, এবং সে ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ অবশ্যই করার কথা ছিল; কিন্তু রাজনীতিই ছিল তাঁর নেশা। পেশা যদি বলতে হয় তবে সেটাও ওই রাজনীতিই।

তবে তার রাজনীতি ক্ষমতা লাভের নয়। এমনকি জনপ্রতিনিধিও নয়, রাজনীতির কর্মীই রয়ে গেলেন এই পর্যন্ত।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

https://dainiksurjodoy.com/wp-content/uploads/2023/12/Green-White-Modern-Pastel-Travel-Agency-Discount-Video5-2.gif

ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

হেলাল আকবর চৌধূরী বাবরের উত্থান ও কী তার সাফল্যের চাবিকাঠি?

Update Time : ০১:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

সুব্রত শুভ্র: প্রতিপক্ষ যতই শক্তিধর হোক হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে এক অপরাজেয় তরুণনেতা। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তা ১০ বছর আগের চাইতে অনেক বেড়ে গিয়েছে।

প্রয়াত কিংবদন্তি নেতা চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মিল পাওয়া যাচ্ছে চট্টলসম্রাট হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের মাঝে। অসহায়দের সগযোগিতায় নেই তার সীমাবদ্ধতা। নগরের দূরদূরান্তের অসহায় ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী, রিকশা চালক দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিপদে পড়লে নন্দনকানন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসার পাশে চলে আসেন।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে কেমন করে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে এত বড় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর কী তার সাফল্যের উৎস। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার এই সাফল্যের পেছনে কিন্তু একটা প্রতিভা কাজ করে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় সাংবাদিক রতন কান্তি দেবাশীষ। তিনি বলেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের একটা ক্যারিশমা বা সম্মোহনী ক্ষমতা আছে।

জানা যায়, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছোটকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জি-এস নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তৎতালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য, ২০১০ সালেও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং ২০১৩ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ অর্থ সম্পাদক মনোনীত হন। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগের একেবারে সাধারণ একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই তাঁর মধ্যে অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন তার সিনিয়র নেতারা। তিনি চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। তার প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন কেটেছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছায়ায়। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের একটা বিশেষত্ব হলো তার প্রচণ্ড লড়াকু মনোবৃত্তি, এবং তার পরিশ্রম করার ক্ষমতা। তার রাজনৈতিক জীবনে বহু বাধা এসেছে, তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও হত্যার পরিকল্পনা করে প্রায় ধ্বংস করার উপক্রম হয়েছিল, কিন্তু তিনি আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন, নিজেকে পুনর্গঠিত করেছেন। এটা তার লড়াই করার ক্ষমতার প্রমাণ।

চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে বর্ণনা করছে চট্টলসম্রাট বলে। যুবলীগের রাজনীতি থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার পরই তিনি একজন উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছেন। ছোট ছোট অনেক ঘটনা আছে যার মধ্যে দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের নজরে এসেছিলেন।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর দরিদ্র জনগোষ্ঠী, নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নানা রকম জনকল্যাণ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিগত করোনাকালীন সময়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একের পর এক মানবিক সাহায্য নিয়ে অসহায়, বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হয়। সবসময় তিনি প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেই মূল্যায়ন করেছেন।

মানব সেবায় ব্রত হয়ে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর কয়েকবছর যাবত পবিত্র রমজান মাসজুড়ে রোজাদারদের মাঝে ইফতার-সেহেরি বিতরণ করে আসছেন। চট্টগ্রাম নগরের দূরদূরান্তের অসহায় ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধী, রিকশা চালক দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রমজান মাসে নন্দনকানন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বাসার পাশে চলে আসেন। পবিত্র রমজাসে ইফতার ও সেহরির উৎসব হয় তার নন্দনকাননের বাসায়। প্রকৃতপক্ষেই এগুলো এক সাড়া-জাগানো ঘটনা। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সাফল্যের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের এক বিরল ক্ষমতা রয়েছে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারার।

হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের জীবনে আলস্যের কোনো অবকাশ নেই। পরিবার বলতে তাঁর সংগঠনই সবচেয়ে বড় পরিবার। জীবন ও রাজনীতি মিলে একাকার হয়ে গেছে তাঁর জীবনে। হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ইচ্ছা করলে অনেক কিছু হতে পারতেন, এবং সে ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ অবশ্যই করার কথা ছিল; কিন্তু রাজনীতিই ছিল তাঁর নেশা। পেশা যদি বলতে হয় তবে সেটাও ওই রাজনীতিই।

তবে তার রাজনীতি ক্ষমতা লাভের নয়। এমনকি জনপ্রতিনিধিও নয়, রাজনীতির কর্মীই রয়ে গেলেন এই পর্যন্ত।