০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

  • আপডেট: ১০:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  • 88

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক: ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে সোমালিয়ায় ৩১ দিন জলদস্যুর কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নাবিকরা দুইটি প্রথমত তারা ফ্লাইটে, দ্বিতীয়ত ওই জাহাজেই দেশে ফিরতে পারবেন।

আজ ১৪ এপ্রিল রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ এ জাহাজ আক্রমণের শিকার হয়েছিল অস্ত্রের মুখে। ৩১ দিন পর ফাইনালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি। ডিএমডি বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধজাহাজ ফোর্সফুলি জাহাজটি উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। আগামী ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে জাহাজটি আশাকরি। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএসআরএম’র সিইও মেহেরুল করিম বলেন, যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে আমাদের দাবি ছিল, তাই প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে। কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে। আজ ভোর তিনটায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহান রোকন, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রাম কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেতার মৃত্যু

আগামী ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

আপডেট: ১০:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক: ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে সোমালিয়ায় ৩১ দিন জলদস্যুর কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নাবিকরা দুইটি প্রথমত তারা ফ্লাইটে, দ্বিতীয়ত ওই জাহাজেই দেশে ফিরতে পারবেন।

আজ ১৪ এপ্রিল রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ এ জাহাজ আক্রমণের শিকার হয়েছিল অস্ত্রের মুখে। ৩১ দিন পর ফাইনালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি। ডিএমডি বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধজাহাজ ফোর্সফুলি জাহাজটি উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। আগামী ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে জাহাজটি আশাকরি। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএসআরএম’র সিইও মেহেরুল করিম বলেন, যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে আমাদের দাবি ছিল, তাই প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে। কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে। আজ ভোর তিনটায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহান রোকন, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।