Dhaka ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সতিনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ১৪ বছর পর গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • 53

এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর অন্তঃসত্ত্বা সতিনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ১৪ বছর পলাতক থাকার পর আসামি আন্জুমানারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল ১৩ মার্চ বুধবার রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরশসা জয় বাংলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আঞ্জুমানারা বেগম নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের মৃত নূরুল আমিন বৈঠার স্ত্রী।

র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবরার ফয়সাল সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুরআলগা গ্রামের নূরুল আমিন বৈঠা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা প্রথম স্ত্রীকে রেখে আন্জুমানারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে আন্জুমানারা বেগমের (শেফালী) প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় নূরুল আমিন বৈঠা বিগত ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল তার অন্তঃসত্ত্বা প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী–স্ত্রী দুজনেই পালিয়ে যান। এরপর নূরুল আমিন বৈঠা মারা যান।

পরবর্তীতে, আদালত সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল আসামি আন্জুমানারা বেগমের অনুপস্থিতিতে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আঞ্জুমানারাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের চরশসা জয় বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্জুমানারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

সতিনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ১৪ বছর পর গ্রেফতার

Update Time : ০৪:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর অন্তঃসত্ত্বা সতিনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ১৪ বছর পলাতক থাকার পর আসামি আন্জুমানারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল ১৩ মার্চ বুধবার রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরশসা জয় বাংলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আঞ্জুমানারা বেগম নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের মৃত নূরুল আমিন বৈঠার স্ত্রী।

র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবরার ফয়সাল সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুরআলগা গ্রামের নূরুল আমিন বৈঠা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা প্রথম স্ত্রীকে রেখে আন্জুমানারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে আন্জুমানারা বেগমের (শেফালী) প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় নূরুল আমিন বৈঠা বিগত ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল তার অন্তঃসত্ত্বা প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী–স্ত্রী দুজনেই পালিয়ে যান। এরপর নূরুল আমিন বৈঠা মারা যান।

পরবর্তীতে, আদালত সাক্ষ্য–প্রমাণ শেষে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল আসামি আন্জুমানারা বেগমের অনুপস্থিতিতে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আঞ্জুমানারাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের চরশসা জয় বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্জুমানারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।