Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের কাজ শেষ হলে ৩ ঘণ্টায় পণ্য যাবে ভারতে

  • মিশু দাশ
  • Update Time : ০৪:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 44

মিশু দাশ: চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড়ের ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি শীঘ্রই উন্নীত হচ্ছে ৩৮ ফুটে। ১১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ হচ্ছে এই সড়ক। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক অগ্রগতি হয়েছে। কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ৩ ঘণ্টায় যে কোন বৈধ পণ্য পৌছে যাবে ভারতে। প্রকল্পটি ভারত সরকারের এলওসি-৩ এবং বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল দিল্লিতে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৫১৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ৫৯৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে ভারত সরকার। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ২৪৯ দশমিক ২০ মিটারের ৯টি সেতু ও ১০৮ মিটারের ২৩টি কালভার্ট এবং ৩৮ ফুট প্রস্থের ৩৮ কিলোমিটার সড়ক। এর আগে জাইকার অর্থায়নে অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে রামগড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কাজ শেষ করা হয়। এজন্য ব্যয় হয় ২৮১ কোটি টাকা। সেতু ছাড়াও ২০০-৩০০ মিটার সংযোগ সড়কও নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অশোকা বিল্ডকন লিমিটেড এর তত্ত্বাবধানে দেড় বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক ব্যবহার করে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে সহজে পণ্য রফতানি করা যাবে ভারতে। এর ফলে মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হবে। এতে সময় ও পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে। আমদানি-রফতানিতে গতি বৃদ্ধি পাবে।

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি, প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ করা যাবে।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

হেঁয়াকো-রামগড় সড়কের কাজ শেষ হলে ৩ ঘণ্টায় পণ্য যাবে ভারতে

Update Time : ০৪:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিশু দাশ: চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড়ের ১৮ ফুট প্রস্থের সড়কটি শীঘ্রই উন্নীত হচ্ছে ৩৮ ফুটে। ১১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্তকরণ হচ্ছে এই সড়ক। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক অগ্রগতি হয়েছে। কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ৩ ঘণ্টায় যে কোন বৈধ পণ্য পৌছে যাবে ভারতে। প্রকল্পটি ভারত সরকারের এলওসি-৩ এবং বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল দিল্লিতে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৫১৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ৫৯৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে ভারত সরকার। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ২৪৯ দশমিক ২০ মিটারের ৯টি সেতু ও ১০৮ মিটারের ২৩টি কালভার্ট এবং ৩৮ ফুট প্রস্থের ৩৮ কিলোমিটার সড়ক। এর আগে জাইকার অর্থায়নে অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে রামগড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কাজ শেষ করা হয়। এজন্য ব্যয় হয় ২৮১ কোটি টাকা। সেতু ছাড়াও ২০০-৩০০ মিটার সংযোগ সড়কও নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অশোকা বিল্ডকন লিমিটেড এর তত্ত্বাবধানে দেড় বছর মেয়াদের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক ব্যবহার করে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে সহজে পণ্য রফতানি করা যাবে ভারতে। এর ফলে মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হবে। এতে সময় ও পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে। আমদানি-রফতানিতে গতি বৃদ্ধি পাবে।

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি, প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ করা যাবে।