Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙা কুঁড়েঘরে সীমাহীন কষ্টে সিলেট জেলার বালাগঞ্জের নিপন

হেলাল আহমদ, বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বছরের পর বছর পার করলেও সিলেট জেলার বালাগঞ্জের নিপন দাশ ভাগ্যে সরকারের ঘর জোটেনি’। তার কুঁড়েঘরে বৃষ্টিতে পানি পড়ে, রোদের তেজ আর শীতের হাওয়া- দুইই ঢোকে বিনা বাধায়। উপজেলার পূর্ব পৈলন পুর ইউনিয়নের হামছাপুর পিতাঃমনিন্ড কুমার দাশ এর ছেলে নিপন দাশ,গ্রামের এই দরিদ্র নিপন দাশ এই কুঁড়েঘরে থাকেন দীর্ঘদিন থেকে।

বসবাসের অনুপোযোগী হলেও চরম কষ্ট সহ্য করে সেখানে থাকেন, আর ছোট একটা ব্যবসায়া করে জীবন চালান। এরই মধ্যে থাকার ঘরটি বয়সের ভারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় ঘরের বাঁশের খুঁটি, বেড়া এবং চালের টিন। চালের ফুটো দিয়ে রাতের চাঁদ তারা সবকিছুই গোনা যায়। ঘরটির জীর্ণ বেড়া ছেঁড়া কাপড় আর চট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া। শীতে তীব্র ঠান্ডা আর বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে এই ঘরের মাটিতেই শয়ন আর এক কোণে চলে রান্নার কাজ।

নিপন দাশ জানান, অনেক কষ্টে এই ঘরে বাস করেন তিনি। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বৃষ্টি হলে ঘরের কাঁথা-বালিশসহ সবকিছু ভিজে যায়। রাতে বৃষ্টি হলে তাকে ভিজতে হয়। ভারি বৃষ্টিপাত হলে সবকিছু রেখে অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত পার করতে হয়। সমাজের বিত্তশালীরা আমার ঘরটি মেরামত করে দিলে দুর্ভোগ লাঘব হত।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

ভাঙা কুঁড়েঘরে সীমাহীন কষ্টে সিলেট জেলার বালাগঞ্জের নিপন

Update Time : ০৬:০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

হেলাল আহমদ, বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বছরের পর বছর পার করলেও সিলেট জেলার বালাগঞ্জের নিপন দাশ ভাগ্যে সরকারের ঘর জোটেনি’। তার কুঁড়েঘরে বৃষ্টিতে পানি পড়ে, রোদের তেজ আর শীতের হাওয়া- দুইই ঢোকে বিনা বাধায়। উপজেলার পূর্ব পৈলন পুর ইউনিয়নের হামছাপুর পিতাঃমনিন্ড কুমার দাশ এর ছেলে নিপন দাশ,গ্রামের এই দরিদ্র নিপন দাশ এই কুঁড়েঘরে থাকেন দীর্ঘদিন থেকে।

বসবাসের অনুপোযোগী হলেও চরম কষ্ট সহ্য করে সেখানে থাকেন, আর ছোট একটা ব্যবসায়া করে জীবন চালান। এরই মধ্যে থাকার ঘরটি বয়সের ভারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় ঘরের বাঁশের খুঁটি, বেড়া এবং চালের টিন। চালের ফুটো দিয়ে রাতের চাঁদ তারা সবকিছুই গোনা যায়। ঘরটির জীর্ণ বেড়া ছেঁড়া কাপড় আর চট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া। শীতে তীব্র ঠান্ডা আর বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে এই ঘরের মাটিতেই শয়ন আর এক কোণে চলে রান্নার কাজ।

নিপন দাশ জানান, অনেক কষ্টে এই ঘরে বাস করেন তিনি। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বৃষ্টি হলে ঘরের কাঁথা-বালিশসহ সবকিছু ভিজে যায়। রাতে বৃষ্টি হলে তাকে ভিজতে হয়। ভারি বৃষ্টিপাত হলে সবকিছু রেখে অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত পার করতে হয়। সমাজের বিত্তশালীরা আমার ঘরটি মেরামত করে দিলে দুর্ভোগ লাঘব হত।