Dhaka ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের সোনা চোরাকারবারি আবুর জামিন স্থগিত, গ্রেপ্তারের নির্দেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • 48

আদালত প্রতিবেদক : হুন্ডি, স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ব্যবসার মাধ্যমে ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ টাকা জমা ও ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা উত্তোলন করে মানিলন্ডারিং অর্থাৎ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মামলায় ফটিকছড়ির আবু আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ ১০ জুলাই সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি হাজিরার পর সোনা চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রামের আবু আহমেদ ওরফে আবুকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এরপর ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১১ এপ্রিল তার জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
পরে ২৯ বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে। ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, আপিল বিভাগের শুনানিতে আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেন, আসামি হেফাজতের বাইরে। এর মধ্যে নাকি খবর পেয়েছেন আসামি নাকি দেশ ত্যাগ করেছেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আবু আহাম্মদকে ১২ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সে আত্মসমর্পণ না করায় সোমবার তার জামিন স্থগিত রেখে তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির জাপতনগর এলাকার ফয়েজ আহম্মদ ওরফে বালী সওদাগরের ছেলে আবু আহম্মদ ওরফে আবুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে আসামিরা সংঘবদ্ধ হুন্ডি (অর্থ পাচার), স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসার সর্বমোট ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ টাকা জমা ও ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা উত্তোলন করে মানিলন্ডারিং অর্থাৎ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এছাড়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, চাঁদগাও, ফতেহনগর, রাউজান, ফটিকছড়িতে জমি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এছাড়াও আবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রয়েছে।

Tag :

চট্টগ্রামের সোনা চোরাকারবারি আবুর জামিন স্থগিত, গ্রেপ্তারের নির্দেশ

Update Time : ০৩:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

আদালত প্রতিবেদক : হুন্ডি, স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ব্যবসার মাধ্যমে ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ টাকা জমা ও ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা উত্তোলন করে মানিলন্ডারিং অর্থাৎ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মামলায় ফটিকছড়ির আবু আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ ১০ জুলাই সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি হাজিরার পর সোনা চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রামের আবু আহমেদ ওরফে আবুকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এরপর ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১১ এপ্রিল তার জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
পরে ২৯ বিষয়টি শুনানির জন্য উঠে। ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, আপিল বিভাগের শুনানিতে আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেন, আসামি হেফাজতের বাইরে। এর মধ্যে নাকি খবর পেয়েছেন আসামি নাকি দেশ ত্যাগ করেছেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আবু আহাম্মদকে ১২ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সে আত্মসমর্পণ না করায় সোমবার তার জামিন স্থগিত রেখে তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির জাপতনগর এলাকার ফয়েজ আহম্মদ ওরফে বালী সওদাগরের ছেলে আবু আহম্মদ ওরফে আবুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে আসামিরা সংঘবদ্ধ হুন্ডি (অর্থ পাচার), স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসার সর্বমোট ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৭ টাকা জমা ও ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ১৬০ টাকা উত্তোলন করে মানিলন্ডারিং অর্থাৎ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এছাড়া চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, চাঁদগাও, ফতেহনগর, রাউজান, ফটিকছড়িতে জমি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এছাড়াও আবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রয়েছে।