চট্টগ্রাম ব্যুরো : পটিয়ায় থানার কামাল উদ্দিন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
গ্রেফতাররা হলেন, পটিয়া থানার দক্ষিণ চাটরা মৌলভী পাড়ার মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. জামাল (৩৫), মো. কামাল হোসেন (৩২) ও মো. আব্দুস ছবুর (৪০)।
র্যাব জানিয়েছেন, পটিয়া থানার ছনহরা এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারী কামাল উদ্দিন।
গত ২০১৫ সালের ১২ জুলাই সকালে কামাল উদ্দিনের প্রতিবেশী শিশুরা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে থাকে এবং পুকুরের পাড়ে উঠে আবার পুকুরে লাফালাফি করতে থাকে।
তখন তালতো বোন ফাতেমা আক্তার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শিশুদেরকে পুকুরের পাড় হতে লাফালাফি না করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু অবুঝ শিশুরা তার অনুরোধ না শুনে আরও বেশি হৈহুল্লোর করে পুকুরে লাফালাফি করতে থাকে। তখন ফাতেমা আক্তার পুকুরে একটি ঢিল ছুড়ে মারলে শিশু আল আমিনের গায়ে লাগে। পরর্বতীতে শিশু আল আমিন বাড়িতে গিয়ে ঢিল ছোড়ার বিষয়টি তার মাকে জানালে আল আমিনের মা উত্তেজিত হয়ে তালতো বোনকে চুল ধরে টানাটানি করে মারধর করে। এই ঘটনার জের ধরে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে শিশু আল আমিনের স্বজনরা পরস্পর যোগসাজশে কামাল উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা জোবাইর হোসেন প্রকাশ যুবরাজ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হতে হত্যাকাণ্ডের প্রধান তিন আসামি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত পুলিশের রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে কামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবছার জানান, পটিয়ার কামাল উদ্দীন হত্যা মামালার প্রধান তিন আসামী কর্ণফুলী থানার কর্ণফুলী নদীতে একটি জাহাজে অবস্থান করছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার অভিযান চালিয়ে জামাল, কামাল ও আব্দুস ছবুরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতাররা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেন।