Dhaka ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী সিটির নির্বাচন আগামীকাল বুধবার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • 43

সূর্যোদয় রিপোর্ট : আগামীকাল ২১ জুন বুধবার রাজশাহী সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা গতকাল ১৯ জুন সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইভিএম নিয়ে আপত্তি রয়েছে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের। ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু হবে না আশঙ্কা করে ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্র থেকে সোমবার পর্যন্ত তাকে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তাই শেষদিনে মনের বিরুদ্ধে টুকটাক প্রচারণা চালিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এবার মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী ছাড়াও ১১২ জন কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এই নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের একজন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। অপরদিকে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে। এছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য সংরক্ষিত ১০টি নারী আসনেও প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছিল। শেষ দিনে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় মিছিল বের করেছেন।

গত ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়েছিল। এবার ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৬২টি। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টিকেই গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রগুলো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার অধীনে থাকবে। ঢাকা থেকেই কমিশনের কর্মকর্তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকবেন মোট ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। নির্বাচনের দিন ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারাও ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে থাকবে আনসার ও পুলিশ। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব ও বিজিবি।

আজ ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ এবং র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে র‌্যাবের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ভোটের মাঠে বেরিয়ে পড়েন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ভোটকেন্দ্র এবং শহরের নিরাপত্তায় নগরজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইমরান জানান, ভোটের দিন ১২ প্লাটুন বিজিবি মাঠে থাকবে। প্রতি প্লাটুনে থাকবেন ২০ জন করে বিজিবি সদস্য। আর র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, দায়িত্বে থাকবে ২৫০ র‌্যাব সদস্য।

উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।

Tag :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার

রাজশাহী সিটির নির্বাচন আগামীকাল বুধবার

Update Time : ০২:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

সূর্যোদয় রিপোর্ট : আগামীকাল ২১ জুন বুধবার রাজশাহী সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা গতকাল ১৯ জুন সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইভিএম নিয়ে আপত্তি রয়েছে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের। ইভিএমে ভোট সুষ্ঠু হবে না আশঙ্কা করে ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্র থেকে সোমবার পর্যন্ত তাকে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তাই শেষদিনে মনের বিরুদ্ধে টুকটাক প্রচারণা চালিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এবার মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী ছাড়াও ১১২ জন কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এই নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের একজন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। অপরদিকে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে। এছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য সংরক্ষিত ১০টি নারী আসনেও প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছিল। শেষ দিনে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় মিছিল বের করেছেন।

গত ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়েছিল। এবার ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৬২টি। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টিকেই গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রগুলো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার অধীনে থাকবে। ঢাকা থেকেই কমিশনের কর্মকর্তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১০ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকবেন মোট ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। নির্বাচনের দিন ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারাও ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে থাকবে আনসার ও পুলিশ। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব ও বিজিবি।

আজ ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ এবং র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে র‌্যাবের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ভোটের মাঠে বেরিয়ে পড়েন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ভোটকেন্দ্র এবং শহরের নিরাপত্তায় নগরজুড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইমরান জানান, ভোটের দিন ১২ প্লাটুন বিজিবি মাঠে থাকবে। প্রতি প্লাটুনে থাকবেন ২০ জন করে বিজিবি সদস্য। আর র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, দায়িত্বে থাকবে ২৫০ র‌্যাব সদস্য।

উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।