ইনছান আলী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দুই মাস আগে নিখোঁজ যুবক ছয়ফল হোসেনের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বদ্দিনাথপুর গ্রামের শ্মাশান ঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মনিরুল ইসলাম নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থনার আস্তানগর গ্রামে। নিহত ছয়ফল ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তেলটুপি গ্রামের নিজাম উদ্দীনের ছেলে। তেলটুপি গ্রামের আলাল উদ্দীন জানান, নিহত ছয়ফল হোসেন কোন সামাজিক বা রাজনৈতিক দল করতেন না। সাধারণ কৃষক ছিলেন।
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। সেই থেকে আগে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ১৭ নভেম্বর তার ভাই নয়ফল হোসেন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নিহতের স্বজন শিমুল হোসেন জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ছয়ফল বাড়ির পাশে পিতার মাজারে আগরবাতি জ্বালানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। হরিণাকুন্ডু থানার পুলিশ বুধবার তার লাশের সন্ধান পান। তিনি আরো বলেন, ছয়ফলের ব্যবহৃত মোবাইলের সুত্র ধরে কুষ্টিয়ার আস্তানগর ও ক্ষুদ্র আইলচারা গ্রাম থেকে নাকি পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে শুনেছি। মোবাইলটি তাদের কাছেই পাওয়া যায়। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা গ্রামবাসির কাছে অজানা।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। এরই সূত্র ধরে ওই এলাকার শ্মশান থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারনে এই হত্যাকান্ড এবং কারা এর সাথে জড়িত সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। একজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের অটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারন জানা যাবে। দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।