Dhaka ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাঁতমারা রাবার বাগানের গাছ কেটে হোসেনেরখীলে সবুজের মাদক সেবনের ঘর

সজীব চৌধুরী : এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগানের হোসেনেরখীল ও ইসলামপুর এলাকায় রাবার গাছ কেটে মাদক সেবনের ঘর তৈরী করে বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রাণ নাশের হুমকিসহ লাখ লাখ টাকা ক্ষতি করেছে দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসেলামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদক সম্রাট সবুজ। দেশের এই ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্লান্তি লগ্নেও দাঁতমারা রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই রাবার শিল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। আর দাঁতমারা ইউনিয়নের মাদক সম্রাট সবুজ প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে রাবার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাগানের গাছ কেটে উজার করে দিচ্ছে দাঁতমারা রাবার বাগান। দাঁতমারা রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দৈনিক সূর্যোদয়কে জানিয়েছেন, প্রভাবশালী চক্রটি রাবার তৈরির উপযুক্ত গাছ কেটে নিলেও এ নিয়ে মুখ খুলছে না কেউ। এভাবে বাগানের অনেক গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে চক্রটি। মাদক সম্রাট সবুজের বিরুদ্ধে দাঁতমারা রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে দাঁতমারা রাবার বাগানের এই ব্যবস্থাপক। রাবার গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় মাদক সম্রাট সবুজ দাঁতমারা রাবার বাগানের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব রতন রায়কে পিঠিয়ে আহত করে। এই মামলায় এখনো গ্রেফতার হয়নি হোসেলামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদক সম্রাট সবুজ। ফলে প্রতিদিন গাছ কেটে উজার করে দিচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগানকে। জানা গেছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লাকড়ি হিসেবে বিক্রির জন্য বাগান থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে চক্রটি। এভাবে গাছ কাটার ফলে ধ্বংস হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগান। স্থানীয় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গাছ কেটে বাগান উজাড় করে দিলেও তা বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের দাঁতমারা রাবার বাগানের এলাকায় বাগানে পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি দেখে অনুমান করা যায় প্রত্যেকটি গাছ থেকে রাবারের কষ পাওয়া যেত। ফলে গাছ কেটে ফেলায় কমেছে রাবারের উৎপাদন। দেখা গেছে, গাছ কেটে বিভিন্ন জায়গায় লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়। রাবার গাছ কেটে রাস্তার পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানি কাঠ হিসেবে সরবরাহ করার জন্যই স্তূপ করা হয়েছে বলে জানান গাছ কাটার শ্রমিকরা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চের ঘোষণা বিএনপির ৩ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন

দাঁতমারা রাবার বাগানের গাছ কেটে হোসেনেরখীলে সবুজের মাদক সেবনের ঘর

Update Time : ০৮:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

সজীব চৌধুরী : এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগানের হোসেনেরখীল ও ইসলামপুর এলাকায় রাবার গাছ কেটে মাদক সেবনের ঘর তৈরী করে বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রাণ নাশের হুমকিসহ লাখ লাখ টাকা ক্ষতি করেছে দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসেলামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদক সম্রাট সবুজ। দেশের এই ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্লান্তি লগ্নেও দাঁতমারা রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই রাবার শিল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। আর দাঁতমারা ইউনিয়নের মাদক সম্রাট সবুজ প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে রাবার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাগানের গাছ কেটে উজার করে দিচ্ছে দাঁতমারা রাবার বাগান। দাঁতমারা রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান দৈনিক সূর্যোদয়কে জানিয়েছেন, প্রভাবশালী চক্রটি রাবার তৈরির উপযুক্ত গাছ কেটে নিলেও এ নিয়ে মুখ খুলছে না কেউ। এভাবে বাগানের অনেক গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে চক্রটি। মাদক সম্রাট সবুজের বিরুদ্ধে দাঁতমারা রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে দাঁতমারা রাবার বাগানের এই ব্যবস্থাপক। রাবার গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় মাদক সম্রাট সবুজ দাঁতমারা রাবার বাগানের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব রতন রায়কে পিঠিয়ে আহত করে। এই মামলায় এখনো গ্রেফতার হয়নি হোসেলামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাদক সম্রাট সবুজ। ফলে প্রতিদিন গাছ কেটে উজার করে দিচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগানকে। জানা গেছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লাকড়ি হিসেবে বিক্রির জন্য বাগান থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে চক্রটি। এভাবে গাছ কাটার ফলে ধ্বংস হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগান। স্থানীয় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গাছ কেটে বাগান উজাড় করে দিলেও তা বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের দাঁতমারা রাবার বাগানের এলাকায় বাগানে পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি দেখে অনুমান করা যায় প্রত্যেকটি গাছ থেকে রাবারের কষ পাওয়া যেত। ফলে গাছ কেটে ফেলায় কমেছে রাবারের উৎপাদন। দেখা গেছে, গাছ কেটে বিভিন্ন জায়গায় লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়। রাবার গাছ কেটে রাস্তার পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানি কাঠ হিসেবে সরবরাহ করার জন্যই স্তূপ করা হয়েছে বলে জানান গাছ কাটার শ্রমিকরা।