Dhaka ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

  • আপডেট: ০৭:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
  • 579

বিজয়ের আলো ডেস্ক:
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারা দেশে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিয়েছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে লকডাউনের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রয়োজনে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে। তবে শিল্পকারখানা চালু থাকবে, শিফট অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১৮ নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সীমিত পরিসরে গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি করেছিল সরকার। গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মার্চ থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার আহ্বান দিয়েছিল সরকার। এতে অফিস যাতায়াত করা যাত্রীদের ভোগান্তি তৈরি হয়। বাসের সংকটে অনেক যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

গত বছর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন দিয়েছিল সরকার। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিলেও পরে তা কয়েকদফা বাড়ানো হয়।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একদিনে শনাক্ত সাত হাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫০ জন। শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ২৩ শতাংশ।

গত বছরের মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এতটা খারাপ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের ২৫ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিন সংক্রমণ বেশি ছিল। সে সময় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গড়ে দৈনিক মৃত্যু হয় ৪১ জনের।

গত ১০ মার্চ থেকে দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী বাড়ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৯ জনের। এই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৫৯ জন; যা গত ৯ মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ।

সর্বাধিক পঠিত

লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

আপডেট: ০৭:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

বিজয়ের আলো ডেস্ক:
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে সারা দেশে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিয়েছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে লকডাউনের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রয়োজনে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে। তবে শিল্পকারখানা চালু থাকবে, শিফট অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ১৮ নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সীমিত পরিসরে গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি করেছিল সরকার। গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মার্চ থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার আহ্বান দিয়েছিল সরকার। এতে অফিস যাতায়াত করা যাত্রীদের ভোগান্তি তৈরি হয়। বাসের সংকটে অনেক যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

গত বছর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন দিয়েছিল সরকার। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিলেও পরে তা কয়েকদফা বাড়ানো হয়।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার একদিনে শনাক্ত সাত হাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫০ জন। শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ২৩ শতাংশ।

গত বছরের মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এতটা খারাপ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের ২৫ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিন সংক্রমণ বেশি ছিল। সে সময় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গড়ে দৈনিক মৃত্যু হয় ৪১ জনের।

গত ১০ মার্চ থেকে দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী বাড়ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৯ জনের। এই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৫৯ জন; যা গত ৯ মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ।