দেবাশীষ কান্তি: সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের মুক্তি নিয়ে দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে। এখনও এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ফল আসেনি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টরা মোটামুটি নিশ্চিত, ঈদের আগে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন না। জাহাজ মালিক ও নাবিকদের স্বজনরা ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্তির আশা ছেড়েই দিয়েছেন। অবশ্য যে কোনো সময় সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এমভি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন সংস্থা কেএসআরএম সূত্রে জানা গেছে, জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হওয়া আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গ্রুপটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেছেন, জাহাজ মালিকের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। এখনো সমঝোতা না হলেও অগ্রগতি হয়েছে। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে দস্যুরা। মূলত জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির বিষয় নিয়ে এরপরই আলোচনা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সমঝোতা নিয়ে জাহাজমালিক ও দস্যুদের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমে এসেছে। জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, এখন উভয় পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণ নিয়ে দরকষাকষি চলছে। মুক্তিপণের অংক সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কত মুক্তিপণ দাবি করেছে দস্যুরা, তা জানা যায়নি। মালিকপক্ষ কখনোই বিষয়টি স্বীকার করে না। সমঝোতার পর কীভাবে জলদস্যুদের হাতে টাকা পৌঁছানো হবে তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। সমঝোতার পর মুক্তিপণ দেয়া এবং নাবিকদের ফিরিয়ে আনা, সব বিষয়ে সময় লাগতে পারে। এ সময় দুসপ্তার কম নয় বলে জানা গেছে। ফলে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন না এটা প্রায় নিশ্চিত।
মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমঝোতার পর জাহাজটি ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ থেকে নতুন নাবিকদের একটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।