Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনের বদলি চেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী

আবুল কালাম আজাদ : পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ মো. সামশুল হকের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

সুষ্ঠ এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের বদলিও চেয়েছেন তিনি। আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে দেওয়া অভিযোগে এমন দাবি জানিয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

অভিযোগে তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী। আমি অনুভব, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, আমার আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. সামশুল হক চৌধুরী মহান জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য হুইপের ক্ষমতায় গত ১২ নভেম্বর নিজের পছন্দের ওসি বদলি করে আনেন।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তার অভিযোগপত্রে বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে ওসি নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এরপরও আমি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। এরই মধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর মাননীয় হুইপ নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে পটিয়া আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে আসার পথে পটিয়ার প্রায় প্রতিটি এলাকায় পুলিশ প্রটেকশনের ব্যবস্থা করেন। এমনকি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশেও লোকজন চলাচল করতে দেয়নি।

হুইপ সাহেব আদালতে হাজিরা শেষে নিজের গ্রামের বাড়ি শোভনদণ্ডীর রশিদাবাদে গেলে ওসি নেজাম উদ্দিনও ছুটে যান। সেখানে হুইপের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। গত ১ ডিসেম্বর শোভনদণ্ডী এলাকায় হুইপ মহোদয়ের ভাইদের প্ররোচনায় আমার দলীয় কর্মী আশরাফুল আলম সাজ্জাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সে বিষয়ে থানায় আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ অভিযোগ জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এই ওসি। আমি ওসি নেজাম উদ্দিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, এই ওসি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন। আপনি যেভাবে অবাধ, সুষ্ঠ এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন পরিচালনা করতে চাচ্ছেন তা ব্যাহত হবে। আমি মনে করি, বর্তমান ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনকে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন সম্ভব নয়।

আমি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে ওসি নেজাম উদ্দিনকে অন্যত্র বদলির আবেদন করছি।

জানা গেছে, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (বিপি নম্বর-৭৮০৫১০১৩৩১) নামের এই ওসির নানাশ্বশুরের বাড়ি পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে এবং হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দূরসম্পর্কের আত্মীয়।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক সূর্যেোদয়কে বলেন, হুইপ সাহেব পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের মাধ্যমে তার প্রভাব খাটাচ্ছেন।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনের বদলি চেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী

Update Time : ০৬:৪৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আবুল কালাম আজাদ : পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ মো. সামশুল হকের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

সুষ্ঠ এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের বদলিও চেয়েছেন তিনি। আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে দেওয়া অভিযোগে এমন দাবি জানিয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

অভিযোগে তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী। আমি অনুভব, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, আমার আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. সামশুল হক চৌধুরী মহান জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য হুইপের ক্ষমতায় গত ১২ নভেম্বর নিজের পছন্দের ওসি বদলি করে আনেন।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী তার অভিযোগপত্রে বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে ওসি নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এরপরও আমি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। এরই মধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর মাননীয় হুইপ নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত বিষয়ে পটিয়া আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে আসার পথে পটিয়ার প্রায় প্রতিটি এলাকায় পুলিশ প্রটেকশনের ব্যবস্থা করেন। এমনকি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশেও লোকজন চলাচল করতে দেয়নি।

হুইপ সাহেব আদালতে হাজিরা শেষে নিজের গ্রামের বাড়ি শোভনদণ্ডীর রশিদাবাদে গেলে ওসি নেজাম উদ্দিনও ছুটে যান। সেখানে হুইপের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। গত ১ ডিসেম্বর শোভনদণ্ডী এলাকায় হুইপ মহোদয়ের ভাইদের প্ররোচনায় আমার দলীয় কর্মী আশরাফুল আলম সাজ্জাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সে বিষয়ে থানায় আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ অভিযোগ জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এই ওসি। আমি ওসি নেজাম উদ্দিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, এই ওসি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন। আপনি যেভাবে অবাধ, সুষ্ঠ এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন পরিচালনা করতে চাচ্ছেন তা ব্যাহত হবে। আমি মনে করি, বর্তমান ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনকে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন সম্ভব নয়।

আমি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে ওসি নেজাম উদ্দিনকে অন্যত্র বদলির আবেদন করছি।

জানা গেছে, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (বিপি নম্বর-৭৮০৫১০১৩৩১) নামের এই ওসির নানাশ্বশুরের বাড়ি পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে এবং হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দূরসম্পর্কের আত্মীয়।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক সূর্যেোদয়কে বলেন, হুইপ সাহেব পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিনের মাধ্যমে তার প্রভাব খাটাচ্ছেন।