Dhaka ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • 34

আব্দুর রহমান মানিক, সূর্যোদয়: এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এ সমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য সারা দেশে দায়িত্বশীল নেতাদের দেওয়া নির্দেশ মতো এরইমধ্যে স্রোতের মতো ঢাকায় ঢুকছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সামবেশকে কেন্দ্র করে বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবহান বন্ধ হয়ে যেতে পারে মনে করে দূরের জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকে পড়েছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সে কারণে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কর্মীসভা-প্রস্তুতিসভা করছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপিও ধারাবাহিক প্রস্তুতিসভা ও কর্মীসভা করছেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত চলছে উঠান বৈঠকও। উঠান বৈঠকে গ্রেফতার ও আটক এড়াতে সেইফ জোনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ নেতা নিজ বাসায় না থেকে রাতে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকছেন।

তবে, বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীর ধারণা, ২৮ অক্টোবরের মহাসামবেশ থেকে নয়াপল্টনে বসে পড়ার ঘোষণা আসতে পারে। কারণ, রাজনৈতিক ফয়সালা ছাড়া ঢাকা থেকে সবাই এলাকায় ফিরে গেলে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে নয়াপল্টনে অবস্থান করলে সরকার কঠোর হাতে দমন নীতি অবলম্বন করতে পারে। আর সে কাজে সরকার যদি সফল হয় তাহলে বিএনপির রাজনীতি শেষ!

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

মহাসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি

Update Time : ০৩:১৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

আব্দুর রহমান মানিক, সূর্যোদয়: এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এ সমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য সারা দেশে দায়িত্বশীল নেতাদের দেওয়া নির্দেশ মতো এরইমধ্যে স্রোতের মতো ঢাকায় ঢুকছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সামবেশকে কেন্দ্র করে বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবহান বন্ধ হয়ে যেতে পারে মনে করে দূরের জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকে পড়েছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। এ সমাবেশ থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সে কারণে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কর্মীসভা-প্রস্তুতিসভা করছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপিও ধারাবাহিক প্রস্তুতিসভা ও কর্মীসভা করছেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত চলছে উঠান বৈঠকও। উঠান বৈঠকে গ্রেফতার ও আটক এড়াতে সেইফ জোনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ নেতা নিজ বাসায় না থেকে রাতে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকছেন।

তবে, বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীর ধারণা, ২৮ অক্টোবরের মহাসামবেশ থেকে নয়াপল্টনে বসে পড়ার ঘোষণা আসতে পারে। কারণ, রাজনৈতিক ফয়সালা ছাড়া ঢাকা থেকে সবাই এলাকায় ফিরে গেলে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে নয়াপল্টনে অবস্থান করলে সরকার কঠোর হাতে দমন নীতি অবলম্বন করতে পারে। আর সে কাজে সরকার যদি সফল হয় তাহলে বিএনপির রাজনীতি শেষ!