Dhaka ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধুপুরে সুইট ফ্লাগ চাষ করে স্বাবলম্ভী মহিউদ্দিন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • 52

মো: আ: হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের হবিবপুর গ্রামের মহিউদ্দির সুইটফ্লাগ নামক ঔষধি ফসল চাষ করে স্বাবলম্ভী। জানা যায়, করিরাজ মহিউদ্দিন মৃত নুর হোসেন করিরাজের ছেলে। পূর্ব থেকেই তারা পরিবারের সবাই আর্য়ূবেদ পেশার সাথে জড়িত। তারা বংশগত ভাবেই বিভিন্ন গাছ-গাছরা সংগ্রহ করে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা গাছ-গাছরা ক্রয় করে আর্য়ুবেদ ঔষধ তৈরি করে থাকেন। সুইট ফ্লাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা এই ঔষধি গাছ। ২০১২ সালে কবিরাজ মহিউদ্দিন পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে সুইট ফ্লাগ চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন।

বর্তমানে তিনি ০২ (দুই) একর জমিতে সুইট ফ্লাগ উৎপাদন করেছেন। মহিউদ্দিন জানান, এটি জমিতে বপনের ০১ (এক) বছরের মধ্যেই বিঘাতে ফলন হয় ৩০ (ত্রিশ) মণ। ০২ (দুই) বছর জমিতে রাখলে ফলন হয় ৬০ (ষাট) মণ। বর্তমানে এর বাজার মূল্য প্রতি মণ ৮০০০/- (আট হাজার) টাকা। শুষ্ক মৌষমে চারা কাটিং এর মাধ্যমে গাছ উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং শুষ্ক মৌষমে সুইট ফ্লাগ সংরক্ষণ করা হয়। বিগত বছরে তিনি ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার সুইট ফ্লাগ বিক্রয় করেছেন বলে জানান। গাছটি পানি সহণশীল এবং একই সাথে এ ফসলের জমিতে মাছের চাষও করেছেন। পানিতে ডুবে গেলেও ফসলের কোন ক্ষতি হয় না।

সুইট ফ্লাগ দিয়ে বিভিন্ন প্রসাধনী, ঔষধ তৈরি এবং মাছ ধরার চাড় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ (এক হাজার) টন সুইট ফ্লাগের চাহিদা রয়েছে। আমি এ সুইট ফ্লাগ চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছি। অল্প মূল্যে চারা দিয়ে আমি এলাকার অনেক অসহায় মানুষকে সুইট ফ্লাগ উৎপদনে সহায়তা করেছি। তারাও এখন অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ভী। তিনি আরও জানান সরকারী ভাবে সহযোগীতা পেলে অর্থনৈতিক ভাবে আমরা আরো অনেক স্বাবলম্ভী হতে পারবো।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

মধুপুরে সুইট ফ্লাগ চাষ করে স্বাবলম্ভী মহিউদ্দিন

Update Time : ০১:৪১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

মো: আ: হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের হবিবপুর গ্রামের মহিউদ্দির সুইটফ্লাগ নামক ঔষধি ফসল চাষ করে স্বাবলম্ভী। জানা যায়, করিরাজ মহিউদ্দিন মৃত নুর হোসেন করিরাজের ছেলে। পূর্ব থেকেই তারা পরিবারের সবাই আর্য়ূবেদ পেশার সাথে জড়িত। তারা বংশগত ভাবেই বিভিন্ন গাছ-গাছরা সংগ্রহ করে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা গাছ-গাছরা ক্রয় করে আর্য়ুবেদ ঔষধ তৈরি করে থাকেন। সুইট ফ্লাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা এই ঔষধি গাছ। ২০১২ সালে কবিরাজ মহিউদ্দিন পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে সুইট ফ্লাগ চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন।

বর্তমানে তিনি ০২ (দুই) একর জমিতে সুইট ফ্লাগ উৎপাদন করেছেন। মহিউদ্দিন জানান, এটি জমিতে বপনের ০১ (এক) বছরের মধ্যেই বিঘাতে ফলন হয় ৩০ (ত্রিশ) মণ। ০২ (দুই) বছর জমিতে রাখলে ফলন হয় ৬০ (ষাট) মণ। বর্তমানে এর বাজার মূল্য প্রতি মণ ৮০০০/- (আট হাজার) টাকা। শুষ্ক মৌষমে চারা কাটিং এর মাধ্যমে গাছ উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং শুষ্ক মৌষমে সুইট ফ্লাগ সংরক্ষণ করা হয়। বিগত বছরে তিনি ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার সুইট ফ্লাগ বিক্রয় করেছেন বলে জানান। গাছটি পানি সহণশীল এবং একই সাথে এ ফসলের জমিতে মাছের চাষও করেছেন। পানিতে ডুবে গেলেও ফসলের কোন ক্ষতি হয় না।

সুইট ফ্লাগ দিয়ে বিভিন্ন প্রসাধনী, ঔষধ তৈরি এবং মাছ ধরার চাড় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ (এক হাজার) টন সুইট ফ্লাগের চাহিদা রয়েছে। আমি এ সুইট ফ্লাগ চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক ভাবে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছি। অল্প মূল্যে চারা দিয়ে আমি এলাকার অনেক অসহায় মানুষকে সুইট ফ্লাগ উৎপদনে সহায়তা করেছি। তারাও এখন অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্ভী। তিনি আরও জানান সরকারী ভাবে সহযোগীতা পেলে অর্থনৈতিক ভাবে আমরা আরো অনেক স্বাবলম্ভী হতে পারবো।