সূর্যোদয় প্রতিবেদক : পিআর নিয়ে আলোচনা ও আন্দোলন হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা। জনগণ পিআর গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। সংস্কার কমিশন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত আছে। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে সনদে স্বাক্ষর করা হবে এবং যেসব বিষয়ে একমত হয়নি, সেগুলো নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেটের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, নতুন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কাছে আদৌ কোনো ধারণা আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন এই প্রস্তাবটি আনেনি, এটি কিছু রাজনৈতিক দলই এনেছে। পিআর নিয়ে আলোচনা ও আন্দোলন হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা। জনগণ পিআর গ্রহণ করবে না এবং বিএনপি আগেই জানিয়েছে, এটি চাপিয়ে দিলে জনগণ কখনো মেনে নেবে না। তিনি বলেন, জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখতে চায় যার মাধ্যমে তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে এসে নিজস্ব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে। মাত্র ১৪ মাসে রাতারাতি কোনো সংস্কার বাস্তবায়িত হবে, এমন ধারণা জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন হবে এবং জনগণ পরীক্ষিত দলকেই বেছে নেবে। তিনি অনুরোধ করেন, দেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক সুযোগটি পেয়েছে তা যেন হারিয়ে না যায়। কিছু মহলের চেষ্টা করছে জনগণকে একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে। একাত্তর হয়েছে বলেই আজ দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। অনেক ষড়যন্ত্র আছে। তাকে পরাজিত করার শক্তি দেশের মানুষের আছে বলেও জানান তিনি।
০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম: