Dhaka ০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • 43

সিলেট প্রতিনিধি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে আবারও বাড়ছে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে, গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে, গতকাল দুটি পয়েন্টে পানি যথাক্রমে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সিলেট জেলা প্রশাসনের বন্যা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যায় জেলার ১৩টি উপজেলার ৯৫টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এতে পনিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৮ জন মানুষ। এসব এলাকায় ২১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ হাজার ২০৬ জন মানুষ অবস্থান করছেন। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১১৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সারাদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। পরে ১৬ জুন ঈদুল আজহার আগের দিন ফের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। এরপর ২৫ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু ১ জুলাই ফের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

Tag :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিল

আবারও বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানি

Update Time : ০৪:১৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

সিলেট প্রতিনিধি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে আবারও বাড়ছে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে, গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে, গতকাল দুটি পয়েন্টে পানি যথাক্রমে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সিলেট জেলা প্রশাসনের বন্যা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বন্যায় জেলার ১৩টি উপজেলার ৯৫টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এতে পনিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৮ জন মানুষ। এসব এলাকায় ২১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ হাজার ২০৬ জন মানুষ অবস্থান করছেন। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১১৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সারাদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে প্রথম দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৮ জুনের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। পরে ১৬ জুন ঈদুল আজহার আগের দিন ফের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। এরপর ২৫ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু ১ জুলাই ফের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।