Dhaka ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় কবরে শুয়ে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • 68

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় মজিবুর রহমান (৬৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। দাফন আটকাতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

ঘটনাটি আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার সদর উপজেলার চাপড়া সরেজমিন ইউনিয়নের জাদুরহাট বাটুলটারী এলাকায় ঘটে। এলাকাবাসী জানান, মজিবর রহমান ৫-৬ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানাগেছে, মজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী। প্রথম পক্ষে চার ছেলে এবং দ্বিতীয় পক্ষে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মোট জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ। আট বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ এবং তার ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন মজিবর রহমান। বাকি তিন শতক জমি তার প্রথম পক্ষের তিন ছেলে কিনে নেন। তবে ওই জমি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। ওই তিন ছেলের একজন নওশাদ আলী হুমকি দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে জমি রেজিস্ট্রি করে না দিলে মরদেহ দাফন করতে দেবেন। জমি রেজিস্ট্রি করার আগেই মারা যাওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে ছয় বছর আগে গণ্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কোনো কথা হতো না। বাবা মজিবর মারা গেলে আজ তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ আলী। তিনি দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিলেন।

পরে পুলিশ এলে কবর থেকে উঠে আসেন নওশাদ আলী। এরপর পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে দাফন করা হয়। তবে মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবি করেননি। তারা নওশাদকে কবর থেকে ওঠার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা

নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় কবরে শুয়ে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা

Update Time : ১০:৪৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় মজিবুর রহমান (৬৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। দাফন আটকাতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

ঘটনাটি আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার সদর উপজেলার চাপড়া সরেজমিন ইউনিয়নের জাদুরহাট বাটুলটারী এলাকায় ঘটে। এলাকাবাসী জানান, মজিবর রহমান ৫-৬ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানাগেছে, মজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী। প্রথম পক্ষে চার ছেলে এবং দ্বিতীয় পক্ষে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মোট জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ। আট বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ এবং তার ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন মজিবর রহমান। বাকি তিন শতক জমি তার প্রথম পক্ষের তিন ছেলে কিনে নেন। তবে ওই জমি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। ওই তিন ছেলের একজন নওশাদ আলী হুমকি দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে জমি রেজিস্ট্রি করে না দিলে মরদেহ দাফন করতে দেবেন। জমি রেজিস্ট্রি করার আগেই মারা যাওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে ছয় বছর আগে গণ্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কোনো কথা হতো না। বাবা মজিবর মারা গেলে আজ তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ আলী। তিনি দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিলেন।

পরে পুলিশ এলে কবর থেকে উঠে আসেন নওশাদ আলী। এরপর পাশেই নতুন করে কবর খুঁড়ে দাফন করা হয়। তবে মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবি করেননি। তারা নওশাদকে কবর থেকে ওঠার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।