Dhaka ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবুধাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চ উদযাপিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • 39

আরব আমিরাত ব্যুরো: সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে।

গত ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর শ্রদ্ধাবেদীতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। পরবর্তীতে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে কীভাবে বজ্রকঠিন ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে উজ্জ্বীবিত করেছিল তা উঠে আসে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। বিভিন্ন কালজয়ী ভাষণসমূহের তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অন্যসব ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনন্য। এটি কোনো পূর্বলিখিত ভাষণ ছিল না। এটি ছিল ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর হৃদয় উৎসারিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। এতে একদিকে রয়েছে আমাদের সূদীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস, আর অন্যদিকে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সফল পরিণতি হচ্ছে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

আবুধাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চ উদযাপিত

Update Time : ১২:২২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

আরব আমিরাত ব্যুরো: সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে।

গত ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর শ্রদ্ধাবেদীতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। পরবর্তীতে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে কীভাবে বজ্রকঠিন ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে উজ্জ্বীবিত করেছিল তা উঠে আসে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। বিভিন্ন কালজয়ী ভাষণসমূহের তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অন্যসব ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনন্য। এটি কোনো পূর্বলিখিত ভাষণ ছিল না। এটি ছিল ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর হৃদয় উৎসারিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। এতে একদিকে রয়েছে আমাদের সূদীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস, আর অন্যদিকে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সফল পরিণতি হচ্ছে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।