০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আসলাম চৌধুরী ও কর্নেল বাহারকে মনোনয়নে প্রার্থী পরিবর্তনের আভাস!

  • আপডেট: ০৩:০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 17

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে মাদারীপুরের একটি আসন স্থগিত ঘোষণা করা হলেও বাকি আসনগুলোতে ধানের শীষ পাওয়ার পর প্রার্থীরা মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। কোনো কোনো আসনে কোন্দলও দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠ ছাড়েননি। জানা গেছে নাটোর, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা-কর্ণফুলী,পটিয়া ও বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোষিত ৪০টির বেশি আসনে টানাপোড়েন চলছে। ফলে সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের মাঠের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে বিএনপি। অনেক জায়গা থেকে খবর পাওযা গেছে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী মাঠেই নামতে পারছে না। বিশেষ করে নাটোর, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটির জেলার অনেক প্রার্থী দলীয় তোপের মুখে ভোটের নামে মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এসব আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের তদন্তে উঠে এসেছে। তাদের মতে, পুনর্মূল্যায়ন করা না হলে কয়েকজন বঞ্চিত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামার আশঙ্কা রয়েছে। গত ৩ নভেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওইদিন প্রার্থী ঘোষণা শেষে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২৩৭ আসন হচ্ছে বিএনপির সম্ভাব্য তালিকা, চূড়ান্ত নয়। এখানে পরিবর্তন আসতে পারে। এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড আসনে টানাপোড়েন চলছে। চট্টগ্রামের এই ২টি আসনে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। এ দুই আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। জানাগেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী না করায় চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সেখানকার নেতাকর্মীদের একাংশ। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে প্রার্থী না করায় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে তার সমর্থকরা। এছাড়াও প্রতিদিনই মানববন্ধন করে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীরকে। এ নিয়ে গুলশান কার্যালয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বৈঠকও করছেন। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, যরো মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্যদের মান ভাঙিয়ে ঐক্য গড়া। সেটা করতে ব্যর্থ হলে ধানের শীষের বিজয়ের স্বার্থে প্রার্থী পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে দল। কিন্তু প্রার্থীরা ঐক্য তৈরির করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়ার পরও অন্যরা বিরোধিতা করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীতিনির্ধারকরা আরও বলেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে- স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির জনপ্রিয় কিছু নেতাও মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী করার প্রস্তাব দিচ্ছে। আবার স্বতন্ত্রভাবেও বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের মাঠে প্রার্থী হিসাবে রাখতে চাইছে বড় একটি দল। এজন্য নানা প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির ভোট ভাগাভাগির কারণে ওই দলের প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সব মিলিয়ে কিছু আসনে ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে। তবে এই পরিবর্তন স্থানীয় নেতাদের মতামত নিয়েই করা হবে।

দাঁতমারায় রাজনৈতিক দলবদলে বিতর্ক: মাদক ব্যবসায়ীরা এখন বিএনপির নেতা!

চট্টগ্রামে আসলাম চৌধুরী ও কর্নেল বাহারকে মনোনয়নে প্রার্থী পরিবর্তনের আভাস!

আপডেট: ০৩:০৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে মাদারীপুরের একটি আসন স্থগিত ঘোষণা করা হলেও বাকি আসনগুলোতে ধানের শীষ পাওয়ার পর প্রার্থীরা মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। কোনো কোনো আসনে কোন্দলও দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠ ছাড়েননি। জানা গেছে নাটোর, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা-কর্ণফুলী,পটিয়া ও বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘোষিত ৪০টির বেশি আসনে টানাপোড়েন চলছে। ফলে সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের মাঠের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে বিএনপি। অনেক জায়গা থেকে খবর পাওযা গেছে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী মাঠেই নামতে পারছে না। বিশেষ করে নাটোর, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটির জেলার অনেক প্রার্থী দলীয় তোপের মুখে ভোটের নামে মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছে না। এসব আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের তদন্তে উঠে এসেছে। তাদের মতে, পুনর্মূল্যায়ন করা না হলে কয়েকজন বঞ্চিত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামার আশঙ্কা রয়েছে। গত ৩ নভেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওইদিন প্রার্থী ঘোষণা শেষে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২৩৭ আসন হচ্ছে বিএনপির সম্ভাব্য তালিকা, চূড়ান্ত নয়। এখানে পরিবর্তন আসতে পারে। এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড আসনে টানাপোড়েন চলছে। চট্টগ্রামের এই ২টি আসনে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। এ দুই আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। জানাগেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী না করায় চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সেখানকার নেতাকর্মীদের একাংশ। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে প্রার্থী না করায় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে তার সমর্থকরা। এছাড়াও প্রতিদিনই মানববন্ধন করে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীরকে। এ নিয়ে গুলশান কার্যালয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বৈঠকও করছেন। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, যরো মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্যদের মান ভাঙিয়ে ঐক্য গড়া। সেটা করতে ব্যর্থ হলে ধানের শীষের বিজয়ের স্বার্থে প্রার্থী পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে দল। কিন্তু প্রার্থীরা ঐক্য তৈরির করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়ার পরও অন্যরা বিরোধিতা করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীতিনির্ধারকরা আরও বলেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে- স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির জনপ্রিয় কিছু নেতাও মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী করার প্রস্তাব দিচ্ছে। আবার স্বতন্ত্রভাবেও বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের মাঠে প্রার্থী হিসাবে রাখতে চাইছে বড় একটি দল। এজন্য নানা প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির ভোট ভাগাভাগির কারণে ওই দলের প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সব মিলিয়ে কিছু আসনে ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে। তবে এই পরিবর্তন স্থানীয় নেতাদের মতামত নিয়েই করা হবে।