Dhaka ০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 48

কুমিল্লা প্রতিনিধি : বন্যায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা। নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। ২৪ আগস্ট শনিবার ভোর থেকে এই সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। যে কারণে ত্রাণ বিতরণেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। এদিকে ত্রাণ না পেয়ে হাহাকার করছে বানভাসি মানুষ। জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙে পড়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকার গোমতীর বাঁধ। এরপরেই অল্প সময়ে ভেসে যায় ওই এলাকার ঘরবাড়িসহ পুরো উপজেলা। এ সময় কিছু এলাকার বিদ্যুতের মিটার পর্যন্ত ডুবে যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল টাওয়ারগুলো। শনিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারি দিয়ে টাওয়ারগুলো চালানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে টাওয়ারের ব্যাটারিতেও চার্জ না থাকায় তা বন্ধ রয়েছে। এতে কোথায় ত্রাণের দরকার বা সহযোগিতা প্রয়োজন তা বোঝা যাচ্ছে না। যে কারণে ভেঙে পড়েছেন বুড়িচং উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলাটি। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘বৈদ্যুতিক তারের কারণে আমরা ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছিলাম না। সেগুলো আমাদের গায়ে লেগে যাচ্ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা কোন কাজও করতে পারছি না। কোথায় সহযোগিতা দরকার বা ত্রাণ দরকার আমরা তা বুঝতে পারছি না। এদিকে মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। অনেক এলাকায় মানুষ রাতে খাবার খায়নি। তারা খাবারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি বলছে তারা খাবার পায়নি। কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৬০টির বেশি গ্রাম পানির নিচে। বিদ্যুতের সকল মিটার পানিতে ভাসছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎসংযোগ সচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। কয়েকটা মোবাইল অপারেটর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ত্রাণের নৌকাগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর দিয়ে যায়। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পানি কমলেই আমরা সংযোগ দিয়ে দেবো।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার

বন্যায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা

Update Time : ১২:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি : বন্যায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা। নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। ২৪ আগস্ট শনিবার ভোর থেকে এই সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। যে কারণে ত্রাণ বিতরণেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। এদিকে ত্রাণ না পেয়ে হাহাকার করছে বানভাসি মানুষ। জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙে পড়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকার গোমতীর বাঁধ। এরপরেই অল্প সময়ে ভেসে যায় ওই এলাকার ঘরবাড়িসহ পুরো উপজেলা। এ সময় কিছু এলাকার বিদ্যুতের মিটার পর্যন্ত ডুবে যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল টাওয়ারগুলো। শনিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারি দিয়ে টাওয়ারগুলো চালানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে টাওয়ারের ব্যাটারিতেও চার্জ না থাকায় তা বন্ধ রয়েছে। এতে কোথায় ত্রাণের দরকার বা সহযোগিতা প্রয়োজন তা বোঝা যাচ্ছে না। যে কারণে ভেঙে পড়েছেন বুড়িচং উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলাটি। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘বৈদ্যুতিক তারের কারণে আমরা ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছিলাম না। সেগুলো আমাদের গায়ে লেগে যাচ্ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা কোন কাজও করতে পারছি না। কোথায় সহযোগিতা দরকার বা ত্রাণ দরকার আমরা তা বুঝতে পারছি না। এদিকে মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। অনেক এলাকায় মানুষ রাতে খাবার খায়নি। তারা খাবারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি বলছে তারা খাবার পায়নি। কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৬০টির বেশি গ্রাম পানির নিচে। বিদ্যুতের সকল মিটার পানিতে ভাসছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎসংযোগ সচল করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে। কয়েকটা মোবাইল অপারেটর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ত্রাণের নৌকাগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর দিয়ে যায়। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পানি কমলেই আমরা সংযোগ দিয়ে দেবো।