Dhaka ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বিঝু ও বিষু উৎসব

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • 51

সূর্যোদয় ডেস্ক: পাহাড়ে ঐতিহ্যগত চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের প্রাানের উৎসব ও বিঝু ও বিষু। সাঙ্গু নদীতে জলবুদ্ধ ও ” মা” গঙ্গাকে ফুল বিষর্জনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব বিঝু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে আজ থেকে।

উৎসব উপলক্ষে ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জেলর ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের শিশু, নারী পুরুষ, বয়োবৃদ্ধরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় আজ ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসিয়ে পূজা শেষে নিজেদের ঘরদুয়ার ফুল দিয়ে সাজায়। ঘরে ঘরে বিভিন্ন খানাপিনার আয়োজন করা হয়। একে অপরের বাড়ীতে নিমন্ত্রণে যায়। ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন, এলাকার মুরুব্বী, বয়োজ্যােষ্ঠদেরকে ঘরে এনে খাওয়ানো হয়। শত প্রকার সবজি, মাছ, শুটকি দিয়ে তৈরী করা হয় পাচন তরকারী যা চাকমাদের খাবার মূল আকর্ষন।

১৪ এপ্রিল বয়ো জ্যােষ্ঠদেরকে গোসল করিয়ে তরুন -তরুনীরা তাদের (গুরুজন) কাছ থেকে আর্শীবাদ গ্রহণ করে থাকে। বাড়ীতে বাড়ীতে ভিক্ষু-সংঘকে ফাং (নিমন্ত্রণ) করে বাড়ির লোকজনের মঙ্গলের জন্য মঙ্গল সূত্র শ্রবণ নিয়ে থাকে। সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসতে আসা হ্যাপি চাকমা বলেন, পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আগামী বছরও ভালো থাকার জন্য আর্শীবাদ প্রার্থনা করে জল বুদ্ধ ও মা গঙ্গাকে ফুল দিয়ে পূজা করতে এসেছি সাঙ্গুনদীতে।

Tag :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার

সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বিঝু ও বিষু উৎসব

Update Time : ১০:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

সূর্যোদয় ডেস্ক: পাহাড়ে ঐতিহ্যগত চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের প্রাানের উৎসব ও বিঝু ও বিষু। সাঙ্গু নদীতে জলবুদ্ধ ও ” মা” গঙ্গাকে ফুল বিষর্জনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব বিঝু ও বিষু উৎসব শুরু হয়েছে আজ থেকে।

উৎসব উপলক্ষে ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জেলর ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের শিশু, নারী পুরুষ, বয়োবৃদ্ধরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় আজ ১২ এপ্রিল নদীতে ফুল ভাসিয়ে পূজা শেষে নিজেদের ঘরদুয়ার ফুল দিয়ে সাজায়। ঘরে ঘরে বিভিন্ন খানাপিনার আয়োজন করা হয়। একে অপরের বাড়ীতে নিমন্ত্রণে যায়। ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন, এলাকার মুরুব্বী, বয়োজ্যােষ্ঠদেরকে ঘরে এনে খাওয়ানো হয়। শত প্রকার সবজি, মাছ, শুটকি দিয়ে তৈরী করা হয় পাচন তরকারী যা চাকমাদের খাবার মূল আকর্ষন।

১৪ এপ্রিল বয়ো জ্যােষ্ঠদেরকে গোসল করিয়ে তরুন -তরুনীরা তাদের (গুরুজন) কাছ থেকে আর্শীবাদ গ্রহণ করে থাকে। বাড়ীতে বাড়ীতে ভিক্ষু-সংঘকে ফাং (নিমন্ত্রণ) করে বাড়ির লোকজনের মঙ্গলের জন্য মঙ্গল সূত্র শ্রবণ নিয়ে থাকে। সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসতে আসা হ্যাপি চাকমা বলেন, পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আগামী বছরও ভালো থাকার জন্য আর্শীবাদ প্রার্থনা করে জল বুদ্ধ ও মা গঙ্গাকে ফুল দিয়ে পূজা করতে এসেছি সাঙ্গুনদীতে।