তপন তালুকদার: কাজ না করে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে বন গবেষণা ইনষ্ঠিটিউটের সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। জানা গেছে, চট্টগ্রামের ষোলশহরে অবস্থিত বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনষ্ঠিটিউটের সাড়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দুর্নীতি থেকে রেহায় পেতে অফিসের নথি পর্যন্ত চুরি করিয়েছে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। এই সাড়ে ১৫ লাখ টাকার কাজটি চাহিদা দিয়েছিলেন ইনষ্ঠিটিউটটির নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ার। কিন্তু টাকা পাশ করেছেন সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পরবর্তীতে এই টাকা ক্যাশ শাখা হতে টাকা উঠিয়ে নেন নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ার।
এই টাকা তুলে সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ারসহ মিলে আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে দুদক তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির এক উধ্বতন কর্মকর্তা। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত ৩৪,০৬,৬৫৯/ (১৯২টি মঞ্জুরির মাধ্যমে ব্যয়িত টাকা )। তন্মধ্যে ১৫,৪২,১৮৩/- (৯১টি মঞ্জুরির মাধ্যমে ব্যয়িত টাকা ) কাজ না করে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। এই হরিলুটের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে ৯১ টি কাজের সকল নথি, তথ্য উপাত্ত বতর্মানে চাকরি থেকে বরখাস্ত মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলামের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ার ও সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চুরি করিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পরিকল্পিত ভাবে নথিগুলো গায়েব করার সিদ্ধান্ত হাতে নেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এই চুরি করা সকল ডকুমেন্ট একটা বস্তায় ভরে সাবেক অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শাহিদুল ইসলাম চুরি করে এবং এই দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এরই ভিত্তিতে তাহার বিরুদ্ধে নথি চুরির দায়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যাহা পাঁচলাইশ মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে জিডি নং-১৮১, তারিখ:- ০৩/১২/২০২২.। এব্যাপারে বন গবেষণা ইনষ্ঠিটিউটের সাবেক বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এখন অবসরে আছি এগুলো নিয়ে টানাটানি না করা ভাল। এইটা আমাকে দিয়ে হয়নি এর সাথে সাবেক পরিচালক জড়িত রয়েছে।
আপনি এ ব্যাপারে কোন নিউজ করিয়েন না , আমি নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ারকে আপনার সাথে বলে দিচ্ছি।