বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে ব্যাংক-অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল ৬ এপ্রিল শনিবার রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র ও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ৭ এপ্রিল রোববার সকালে হেলিকপ্টারে বান্দরবান পৌঁছে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে তা না জানালেও তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে গতকাল রাত থেকে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযান চলবে। তিনি বলেন, বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে, উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু গত ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভেতরে কী আছে সেটি তো জানা মুশকিল।
তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়। কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি দুই উপজেলাবাসীর। এসব তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আটি। তারমধ্যে রুমায় চারটি এবং থানচিতে চারটি। সবগুলো মামলায় আসামি অজ্ঞাত।