Dhaka ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • 53

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে জুড়ির পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের মখলিছ মিয়ার বাড়িতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, ফয়জুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬), সাদিয়া বেগম (১৩) ও ছেলে সায়েম মিয়া (৮)।

এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার নামে ৭ বছরের একটি মেয়ে বেঁচে আছে। চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা সোনিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে ঝড়ের সময় তাদের ঘর থেকে তিনশ হাত দূরে বজ্রপাত পড়ে। বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেহরি খাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৫টার দিকে বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরে আগুন লেগে যায়। এসময় বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতে যান।

দরজাতে বিদ্যুৎ থাকায় একে এক পাঁচজনই মারা যান। জানা গেছে, বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরের উপরে থাকা পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে টিনে পড়ে। টিনের ঘর হওয়ায় পুরো ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ছড়িয়ে পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

Tag :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

Update Time : ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে জুড়ির পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের মখলিছ মিয়ার বাড়িতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, ফয়জুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬), সাদিয়া বেগম (১৩) ও ছেলে সায়েম মিয়া (৮)।

এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার নামে ৭ বছরের একটি মেয়ে বেঁচে আছে। চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা সোনিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে ঝড়ের সময় তাদের ঘর থেকে তিনশ হাত দূরে বজ্রপাত পড়ে। বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেহরি খাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৫টার দিকে বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরে আগুন লেগে যায়। এসময় বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতে যান।

দরজাতে বিদ্যুৎ থাকায় একে এক পাঁচজনই মারা যান। জানা গেছে, বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরের উপরে থাকা পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে টিনে পড়ে। টিনের ঘর হওয়ায় পুরো ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ছড়িয়ে পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।