সূর্যোদয় প্রতিনিধি : ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) প্রচার চালাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। তার ওপর হামলার বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৫ জুলাই বুধবার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে প্রচার চালাতে গেলে স্বতন্ত্র এ প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকদের প্রথমে বাধা প্রদান ও পরে মারধর করা হয়। বিষয় নিয়েছে হিরো আলম রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাততলা বস্তিতে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী বস্তির গেইটে দাঁড়িয়ে বলল তোমরা ঢুকতে পারবে না। এখানে তোমরা ঢুকতে পারবে না। আরাফাত (নৌকার প্রার্থী) ভাইয়ের ভোট করবো (প্রচার চালাবো)। এর পর আমরা যখন ঢুকতে চাচ্ছি তখন মহিলারা আমাদের গায়ে হাত তুললো। একজন এখন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা ইট মেরেছে,জুতো মেরেছে, গায়ে হাত তুলেছে। তারা বুঝাচ্ছে যে নৌকা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেবে না। আজকেই যদি এমন পরিস্থিতা হয়, তাহলে ভোটের দিন ডাইরেক্ট বলবে নৌকা ছাড়া কোনো ভোট হবে না। ডাইরেক্ট নৌকায় সিল মারবে। আজকে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে এই বিশ্বাস হারায়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি আমরা জানের নিরাপত্তা দেখতেছিনা। আমি না হয় আমার জানের মায়া করলাম না। কিন্তু আজকে আমার একটা কর্মি আমরা হাসপাতালে। আমি তো চাই না হিরো আলমের জন্য কোনো মায়ের বুক খালি হোক। আপনারা জানেন, এই নির্বাচন নির্বাচন করে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার আশায়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় ঠিকই আছে, কিন্তু মা তার সন্তানকে ফিরে পায়নি। এর রকম ঘটনা যদি হয়, আমার কর্মি যদি মারা যায়, তাহলে কী হবে! এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা লিখিত পেয়েছি। কর্তৃপক্ষকে দেবো। তারা যা নির্দেশনা দেবেন তাই হবে। মৌখিকভাবে বলেছেন তিনি যে প্রচার চালাতে দেনননি। আঘাতও করেছে। আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা আমরা সেটা দেখবো। অভিযোগ তো মাত্র পেলাম। তদন্ত করবো, তারপর ব্যবস্থা নেবো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা আমরা নেবো।
আগামী ১৭ জুলাই এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আকরব হোসেন পাঠান ফারুক মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য হয়।