Dhaka ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বশুরবাড়িতে মিলল জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ

  • আপডেট: ০৯:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
  • 72

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জেলার পলাশবাড়ীতে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি জাম গাছ থেকে শামীম মিয়া (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

০৩ জুলাই সোমবার সকালে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহমুদপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শামীম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধুনদিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়ারেস মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শামিমের। পরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এক সপ্তাহে আগে ফাতেমা রাগ করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শামীমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, বাবার বাড়ি আসার পর থেকে শামীম মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। রোববার দিনগত রাত ১০টার দিকে শামীমের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। সকালে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিনাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নুর আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শামীমের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সর্বাধিক পঠিত

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

শ্বশুরবাড়িতে মিলল জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ

আপডেট: ০৯:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জেলার পলাশবাড়ীতে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি জাম গাছ থেকে শামীম মিয়া (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

০৩ জুলাই সোমবার সকালে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহমুদপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শামীম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধুনদিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়ারেস মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শামিমের। পরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এক সপ্তাহে আগে ফাতেমা রাগ করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শামীমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, বাবার বাড়ি আসার পর থেকে শামীম মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। রোববার দিনগত রাত ১০টার দিকে শামীমের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। সকালে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিনাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নুর আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শামীমের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।