Dhaka ০২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং প্লেটের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • 6686

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার ৪ নং মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং প্লেটের নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দোহাই দিয়ে হোল্ডিং প্লেটের নামে অর্থ আদায় করছে মানিকারচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন ও দুই ইউপি সদস্য খবির হোসেন ও আখতারুজ্জামান। অভিযোগ রয়েছে এই অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী।

সরেজমিনে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ৪ নং মানিকারচর ইউনিয়নে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হোল্ডিং ট্যাক্স এর মিথ্যা কথা বলে তাদের মনে ভয় ভীতির সৃষ্টি করে একধরনের চাপে ফেলে গৃহকরের নামে হোল্ডিং প্লেটের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে চক্রটি। বলা হচ্ছে, বাড়ীতে হোল্ডিং প্লেট না লাগালে ভবিষ্যতে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে তাদের। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং নম্বরের প্লেট নিয়ে ব্যাপক প্রতারণা, অনিয়ম ও দুর্নীতি করার বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসীর মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মানিকারচর ইউনিয়নের বাসীন্দারা জানান, নির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীক ঝামেলায় অনুপস্থিত থাকার কারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন হোল্ডিং প্লেট দেওয়ার কথা বলে প্রতিটি বাড়ী থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, মানিকারচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন ও দুই ইউপি সদস্য খবির হোসেন ও আখতারুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি কমিটি করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন এর নাম ও স্বাক্ষরযুক্ত হোল্ডিং প্লেট প্রতিটি বাড়ীতে লাগানো বাধ্যতামুলক করেছেন।

এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ১৬ শত বাড়ী থেকে হোল্ডিং প্লেট এর জন্য বাড়ী প্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বিনা রশিদে। খবর নিয়ে জানা গেছে মানিকারচর ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজার বসতবাড়ী রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খবির জানান, অর্থ আদায় করার বিষয়টি সত্য এটি চেয়ারম্যান এর সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আ. বাতেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং প্লেটের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Update Time : ০৭:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

সূর্যোদয় প্রতিবেদক : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার ৪ নং মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং প্লেটের নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দোহাই দিয়ে হোল্ডিং প্লেটের নামে অর্থ আদায় করছে মানিকারচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন ও দুই ইউপি সদস্য খবির হোসেন ও আখতারুজ্জামান। অভিযোগ রয়েছে এই অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী।

সরেজমিনে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ৪ নং মানিকারচর ইউনিয়নে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে হোল্ডিং ট্যাক্স এর মিথ্যা কথা বলে তাদের মনে ভয় ভীতির সৃষ্টি করে একধরনের চাপে ফেলে গৃহকরের নামে হোল্ডিং প্লেটের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে চক্রটি। বলা হচ্ছে, বাড়ীতে হোল্ডিং প্লেট না লাগালে ভবিষ্যতে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে তাদের। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই মানিকারচর ইউনিয়নে হোল্ডিং নম্বরের প্লেট নিয়ে ব্যাপক প্রতারণা, অনিয়ম ও দুর্নীতি করার বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসীর মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মানিকারচর ইউনিয়নের বাসীন্দারা জানান, নির্বাচিত চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীক ঝামেলায় অনুপস্থিত থাকার কারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন হোল্ডিং প্লেট দেওয়ার কথা বলে প্রতিটি বাড়ী থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, মানিকারচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন ও দুই ইউপি সদস্য খবির হোসেন ও আখতারুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি কমিটি করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন এর নাম ও স্বাক্ষরযুক্ত হোল্ডিং প্লেট প্রতিটি বাড়ীতে লাগানো বাধ্যতামুলক করেছেন।

এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ১৬ শত বাড়ী থেকে হোল্ডিং প্লেট এর জন্য বাড়ী প্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বিনা রশিদে। খবর নিয়ে জানা গেছে মানিকারচর ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজার বসতবাড়ী রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খবির জানান, অর্থ আদায় করার বিষয়টি সত্য এটি চেয়ারম্যান এর সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আ. বাতেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।