Dhaka ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • 2216

সূর্যোদয় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সাক্ষাৎ করেছেন। দেশটির আমিরি দেওয়ানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ মে বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে জানিয়েছেন, এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি বলেন, কাতার থেকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব। ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।

২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮-২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরো অধিক এলএনজি সরবরাহ চায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, ‘তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন। শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।

কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে আমির বলেন, এখন ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশিরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশিদের নিয়ে খুবই খুশি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ময়মনসিংহে নিজ বাসার সামনে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ

Update Time : ০৪:৫৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

সূর্যোদয় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সাক্ষাৎ করেছেন। দেশটির আমিরি দেওয়ানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ মে বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে জানিয়েছেন, এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি বলেন, কাতার থেকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব। ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।

২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮-২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরো অধিক এলএনজি সরবরাহ চায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, ‘তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন। শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।

কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে আমির বলেন, এখন ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশিরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশিদের নিয়ে খুবই খুশি।