০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের ৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নোমানের জয়

  • আপডেট: ০৪:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • 1120

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চান্দগাঁও-বোয়ালখালী নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তিনি নৌকা প্রতীকে ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেসিয়ামে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ ছাড়া চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে এখনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার ছিল। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এদিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ (মোমবাতি) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা (আম) সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করার পরও রিটার্নিং অফিসার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। রিটার্নিং অফিসারের এ ব্যর্থতা এ নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। নির্বাচন কার্যক্রমকে অকার্যকর করেছে। সরকার এ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। তাই এ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি। সেহাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এ আসনের নগরে শতকরা ২-৩ ভাগ ও বোয়ালখালী অংশে ৫-৭ ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যায়নি। সুতরাং এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। অপরদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা সাংবাদিকদের বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমি নির্বাচন বর্জন করিনি। এ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রাম কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেতার মৃত্যু

চট্টগ্রামের ৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নোমানের জয়

আপডেট: ০৪:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চান্দগাঁও-বোয়ালখালী নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তিনি নৌকা প্রতীকে ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেসিয়ামে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ ছাড়া চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে এখনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র‌্যাব মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার ছিল। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এদিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ (মোমবাতি) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা (আম) সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করার পরও রিটার্নিং অফিসার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। রিটার্নিং অফিসারের এ ব্যর্থতা এ নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। নির্বাচন কার্যক্রমকে অকার্যকর করেছে। সরকার এ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। তাই এ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি। সেহাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এ আসনের নগরে শতকরা ২-৩ ভাগ ও বোয়ালখালী অংশে ৫-৭ ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যায়নি। সুতরাং এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। অপরদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা সাংবাদিকদের বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমি নির্বাচন বর্জন করিনি। এ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।