রায়হান চৌধুরী : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজলার ভুজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী সবুজ বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ২ নং ইসলামপুর গ্রাম ও ৩ নং নিচিন্তা ওয়ার্ডের হোসেনেরখীল গ্রামের সাধারণ মানুষ। এ বাহিনী চাদাঁবাজি থেকে শুরু করে অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। সন্ত্রাসী সবুজ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজলার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানা ও কক্সবাজার জেলার রামু থানায় ভূমিদস্যু, ছিনতাই,মাদক মামলাসহ প্রায় অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। সবুজ বাহিনী আস্তানা দাঁতমারা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে পুলিশ সন্ত্রাসী সবুজসহ এ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারছেনা। এলাকার মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। আর এ কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
সূত্র জানিয়েছে, ফটিকছড়ি উপজলার ভুজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ও হোসেনেরখীল এলাকায় সবুজ মিয়া ওরফে রাবার চোর সবুজ ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। জানা গেছে, সন্ত্রাসী সবুজ মিয়া ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু মামলাসহ মাদক সম্রাট সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে ভুজপুর ও রামু থানায় রয়েছে মোট ৮ টি মামলা। তবুও পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট সবুজ মিয়া। সূত্র জানিয়েছে, ফটিকছড়ি উপজলার ভুজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের হেঁয়াকো বাজার এলাকা থেকে শুরু করে শান্তিরহাট বাজার, কাঞ্চনা, দাঁতমারা, ইসলামপুর, বালুটিলা এলাকা পযর্ন্ত মাদক সম্রাট সবুজ মিয়ার রয়েছে বিশাল মাদকের ডিলার। মাদক সম্রাট সবুজ মিয়া একসময় সিএনজি চালক ছিলেন। মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রাম শহরে তার রয়েছে বিশাল পরিবহন ব্যাবসা। জানা গেছে এলাকার কেউ বাড়ি-ঘর তৈরী করলেও বাড়ির মালিকদের কাছে চাঁদা দাবী করেন মাদক সম্রাট সবুজ মিয়া। এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট সবুজ মিয়া মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবৎ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, তার হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে সংক্ষুব্ধ জনগণ কথা বলার এবং প্রতিকার চাওয়ার সাহস পায় না। তার রয়েছে বিশাল কর্মী। প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করা তার দৈনন্দিন বিষয়। সে একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এদিকে সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট সবুজ মিয়া ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারেরর দাবিতে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী মানববন্ধন থেকে শুরু ডিসি ও এসপির বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
শিরোনাম:
ভুজপুর দাঁতমারার সন্ত্রাসী সবুজ বাহিনীর কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ
সর্বাধিক পঠিত