বিজয়ের আলো ডেস্ক:
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রামে নিম্ন আয়ের মানুষ ও হাসপাতালের রোগী এবং স্বজনদের জন্য ব্যতিক্রমী এক দোকান চালু করেছে পুলিশ। দোকান হলেও এখানে ইফতার ও সেহেরির জন্য কোনো টাকা লাগবে না। বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে এসব সামগ্রী। ইফতার ও সেহেরির এ দোকানের নাম দেয়া হয়েছে ফ্রি ইফতার অ্যান্ড সেহেরি শপ।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং মডেল থানার উদ্যোগে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের দ্বিতীয় গেইটের পাশে মাসব্যাপী এ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারীশ মাসব্যাপী এ শপের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী কমিশনার শ্রীমা চাকমা, মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মোরশেদ হোসেন, দাতা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, সদস্য এম আহছান উল্লাহ, মো. সগীর, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নুরুল হক, উপ পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এম আশরাফুল করিম প্রমুখ।
হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মোরশেদ হোসেন ডবলমুরিং মডেল থানার উদ্যোগে পুরো রমজান মাসব্যাপী ‘ফ্রি ইফতার অ্যান্ড সেহেরি শপ’ চালু করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এই মহতী কাজে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, ‘রোজায় হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনরা ইফতার ও সেহেরির জন্য কষ্ট পান। আবার লকডাউনের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরও কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘবের চেষ্টায় এই উদ্যোগ। আমরা চাই আমাদের এই উদ্যোগে অন্যরাও উৎসাহিত হোক, এগিয়ে আসুক।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন জানান, দুই পর্যায়ে কাজ করবে এই ‘ফ্রি ইফতার অ্যান্ড সেহেরি শপ’। প্রথম পর্যায়ে তৈরি ইফতার ও সেহেরি বিতরণ করা হচ্ছে। একই সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়েরও প্রস্তুতি চলছে। এই পর্যায়ে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিনামূল্যে দেবে এই শপ। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন ৩০০ মানুষের ইফতার ও সেহেরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এটা আরও বাড়ানো হবে।
ডবলমুরিং থানার এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছেন থানার কর্মকর্তারাই। তবে অন্য যে কেউ চাইলেই মাসব্যাপী এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওসি মহসীন।
হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. নুরুল হক বলেন, ডবলমুরিং মডেল থানার পুলিশের এই উদ্যোগে অন্যরাও উৎসাহিত হোক, এগিয়ে আসুক মানবতার কল্যাণে।