চট্টগ্রাম ব্যুরো : সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রাহ্মচারীর জামিন শুনানি এগিয়ে আনাসহ আদালতে তিনটি আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে তিনটি আবেদনই নামঞ্জুর করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলামের আদালতে করা এসব আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, কারাগারে আটক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রাহ্মচারীর জামিন শুনানি করাসহ তিনটি দরখাস্ত আদালতে জমা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। বাকি দুই দরখাস্ত হলো- একটি নথি উপস্থাপনের জন্য, অন্যটি জামিন শুনানির তারিখ ২ জানুয়ারি থেকে এগিয়ে আনার জন্য। তিনি বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে চট্টগ্রাম বারের কোনও আইনজীবী ছিলেন না, আসামির পক্ষে ওকালতনামা নেই এবং ফাইলিং আইনজীবীরও লিখিত অনুমতি নেই সেহেতু আদালত তার দরখাস্ত নট মেইন্টেইনেবল বলে নামঞ্জুর করেছেন। এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ঢাকা থেকে আইনজীবী আসার খবরে আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অন্য দিনের তুলনায় বেশি। সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ লোকজনের শরীর তল্লাশি করে। উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ বর্তমানে কারাগারে আছেন। ২৫ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর কোতোয়ালি থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
শিরোনাম: