তপন তালুকদার : শেখ হাসিনার পদত্যাগের চার দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরদিনই নিরাপত্তার দাবি নিয়ে রাজধানীর রাজপথে নামল সমাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুরা। আজ ৯ আগষ্ট শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শাহবাগে অবস্থান নিয়ে চার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এতে ওই এলাকার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতের যাওয়ার দিন থেকেই সারা দেশের হিন্দুদের উপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত হয় ঘরবাড়ি, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির। বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাদের ঘরবাড়ি, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়, কোথাও কোথাও আগুন দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতাদের সহায়-সম্পত্তিও রয়েছে। যশোর, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, ফেনী, শেরপুর, ঢাকা, পটুয়াখালী, নাটোর, মেহেরপুর, দিনাজপুর, চাঁদপুর, শরিয়তপুর, খুলনা, ফরিদপুর, রংপুরসহ আরও কিছু জেলায় হিন্দুদের স্থাবর সম্পত্তি ও উপসানালয়ে হামলার খবর এসেছে। ৫ অগাস্ট হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ২৯ জেলায় হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জড়ো হয়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ এসে অবস্থান নেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৪ দফা দাবি-
১. সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।